প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক:৪০ বছর বয়সের পরে পুরুষদের নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই খাদ্য তালিকায় এই জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ফিটনেস এবং ডায়েট টিপস সমস্ত ৪০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের জন্য।
আজকের সময়ে দুর্বল জীবনধারা এবং খাদ্যের কারণে নিজেকে ফিট রাখা একটি প্রতিযোগিতামূলক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সমস্ত কাজ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মাধ্যমে করা হয়। যার কারণে শারীরিক কার্যকলাপ একেবারেই সম্ভব নয়। অন্যদিকে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে করে অনেক রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে হয়।
। কিন্তু ৪০ বছর বয়সে নিজেকে ফিট রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন করতে হবে।
স্বামী রামদেবের মতে, ৪০ বছর বয়সের পর বেশিরভাগ মানুষকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, রক্তচাপ, মানসিক চাপ, হার্ট অ্যাটাক, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়া এবং বিপাকের গতি কমে যাওয়া।
শুধু তাই নয় যদি কেউ নিজের সঠিকভাবে যত্ন না নেন, তাহলে হৃদয় সম্পর্কিত অনেক রোগের সম্মুখীন হন। তবে খাদ্যে প্রোটিন, ভাল ফ্যাট, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ জিনিস অন্তর্ভূক্ত করা উচিৎ।
*নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন:
সব বয়সের মানুষের নিজেদেরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য কিছু করা উচিৎ। যদি কারো শরীর সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকে, তাহলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব এবং ত্বকও হবে সুস্থ ও উজ্জ্বল।
তাই দিনে কমপক্ষে ২-৩ লিটার জল পান করা উচিৎ। জল ছাড়াও নারকেল জল, যে কোনো ফল বা সবজির রস বা ভেষজ চা পান করে নিজেকে ফিট রাখা যেতে পারে।
*ফাইবারের জন্য এই জিনিসগুলো খান:
ফাইবার শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি পাচনতন্ত্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি কোলেস্টেরল, স্থূলতা, রক্তচাপ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অতএব খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যেমন ব্রকলি, বাঁধাকপি, আখরোট, স্প্রাউট, অ্যাভোকাডো, আপেল, শুকনো ফল, ভুট্টা ইত্যাদি।
*ভালো চর্বির জন্য এই জিনিসগুলো খান:
শরীরে খারাপ চর্বির আধিক্য আছে। সেজন্য খাদ্য তালিকায় এই জিনিসগুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা ভালো চর্বিযুক্ত। অ্যাভোকাডো, শুকনো ফল, চিয়া বীজ, ফ্যাটি মাছ, ডিম, জলপাই তেল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।
*পুরো শস্য জাতীয় খাবার:
৪০ বছর বয়সের পর পুরো শস্য খান। শরীরকে শক্তিশালী করতে এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকায় ভুট্টা, ওটস, দই, বাদামি চাল, বার্লি, ছোলা, রাজগীর, কুট্টি, রাগী ইত্যাদি পুরো শস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
*প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার:
শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে বিভিন্ন ধরনের গুঁড়ো, ক্যাপসুল ইত্যাদি খাওয়া হয়, যার নিজস্ব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।প্রাকৃতিকভাবে শরীরে প্রোটিন বাড়ানো যেতে পারে। এজন্য দুধ, দই, পনির, সয়াবিন, কিডনি মটরশুটি ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment