প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : আপনার কি প্রতিদিন ১৫ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটার সময় আছে? যদি এইটুকু আপনার সময় ব্যস্ত রুটিন থেকে বের করা হয় তবে ক্ষতি কি।এই ১৫ বা ৩০ মিনিট আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি এর উপকারিতা জানেন, তাহলে আপনি অবাক হবেন।
ঘাম না ঝরিয়ে, ভারী ব্যায়াম করার বদলে শুধুমাত্র হাঁটার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটা শুধু আমরা নই অনেক গবেষক এবং ডাক্তার বিশ্বাস করেন। জেনে নিন মাত্র ১৫-৩০ মিনিটের হাঁটা কত রোগ থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে এবং এটি আপনার ব্যক্তিত্বকে কতটা পরিবর্তন করবে?
১. মনের স্বাস্থ্যও ফিট থাকবে
আপনি আপনার মনের উপর হাঁটার প্রভাবও দেখতে পাবেন। গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, হাঁটা এন্ডোরফিন (মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে উপস্থিত হরমোন) বৃদ্ধি করে এবং চাপের মাত্রা হ্রাস করে। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং আল্জ্হেইমের এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়।
২. দ্রুত বক্তৃতা দিয়ে হৃদয়ও খুশি হবে
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, দৌড়ের মতো হাঁটাও হার্টের জন্য ভালো। এটি হৃদপিন্ডে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখে।
৩. অধিক অক্সিজেন ফুসফুসে পৌঁছাবে
হাঁটা ফুসফুসকে শক্তিশালী করে কারণ এটি শরীরের মাধ্যমে বেশি অক্সিজেন প্রবাহিত করতে দেয়। এটি শুধু ফুসফুসকেই সুস্থ রাখে না বরং রোগ প্রতিরোধ করে।
৪. ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমে যায়
গবেষণায় জানা গেছে, যারা হাঁটে তাদের শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ যারা দৌড়ায় তাদের চেয়ে ৬ গুণ বেশি। এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
৫. জিমের চেয়ে ভাল
দিনে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটার মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমানো যায়। হাঁটা শরীরের পেশী স্বর ঠিক রাখে। এটি পেশী শক্ত রাখে। জিমে ঘাম ঝরানোর চেয়ে হাঁটা অনেক সহজ।
৬. জয়েন্ট এবং হাড়কে শক্তিশালী করে
৩০ মিনিটের জন্য হাঁটা আপনার হাড় এবং জয়েন্টগুলোকে শক্তিশালী করে। শক্তিশালী জয়েন্টগুলোতে, আঘাতের ঝুঁকি কম। আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, হাঁটা খুবই উপকারী।
৭. শরীর নমনীয় থাকবে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশি ব্যায়াম কখনও কখনও কোমরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। কিন্তু হাঁটা পিঠের ব্যথা এবং শিথিলতায় খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়। এটি কেবল শক্তিতে নয়, শরীরের নমনীয়তায়ও স্বস্তি দেয়।
No comments:
Post a Comment