প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: দেব আনন্দ সবসময় বলেন যে তার প্রথম প্রেম ছিল সুরাইয়া। বলিউড সেলিব্রেটিদের জীবন একজন সাধারণ মানুষের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আলো ক্যামেরা এবং অ্যাকশনের কারণে তার আছে বাড়ি, গাড়ি, বাংলো, খ্যাতি। অবস্থা সবকিছু। কিন্তু একটা জিনিস আছে, যা এই সেলিব্রিটিরাও অর্জন করতে পারেনি। এটাই তার ভালোবাসা।
হ্যাঁ, এই সেলিব্রিটিরা তাদের জীবনের সবকিছু অর্জন করেছেন, কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ থেকেছেন। আজ আমারা উল্লেখ্য তারকাদের অসম্পূর্ণ প্রেম কাহিনী সম্পর্কে বলব।
১. দিলীপ কুমার - মধুবালা:-বলিউডের ট্র্যাজেডি কিং দিলীপ কুমারকে বলিউডের সেইসব সেলিব্রেটিদের মধ্যে গণ্য করা হয় যাদের প্রেমের গল্প কখনো শেষ হয়নি। দিলীপ কুমার মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন এবং তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মধুবালার বাবা ছিলেন এই সম্পর্কের অন্তরায়। কথিত আছে যে দিলীপ সাহাব মধুবালার সামনে একটি শর্ত রাখেন যে তাকে বিয়ে করার পর সে তার বাবার সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবে। এই অবস্থা শুনে মধুবালা চুপ হয়ে গেলেন। তার ঠোঁট থেকে একটি শব্দও বের হয়নি। এর পর দুজনের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পায় এবং তারপর তারা আর কখনও এক হতে পারে না।
২. অমিতাভ বচ্চন - রেখা:- অমিতাভ বচ্চন এবং রেখার মধ্যে সম্পর্কের কথা বরাবরই ছিল। যদিও অমিতাভ কখনও এই সম্পর্কের কথা বলেননি। কিন্তু অনেক সাক্ষাৎকারে রেখা খোলাখুলিভাবে অমিতাভ বচ্চনের প্রতি তার ভালোবাসার কথা স্বীকার করেছেন। সিলসিলা ছবির পরিচালক যশ চোপড়া ছিলেন রেখা এবং অমিতাভের সম্পর্ক নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা কয়েকজন মানুষের মধ্যে একজন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চোপড়া বলেছিলেন যে সিলসিলার আগে রেখা এবং অমিতাভ একে অপরের সঙ্গে ছিলেন।
৩. রাজ কাপুর - নার্গিস:- রাজ কাপুর এবং নার্গিস আওয়ারা থেকে শ্রী ৪২০ পর্যন্ত ১৬ টি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। এই সময়ে দুজনেই একে অপরের কাছাকাছি এসেছিলেন। কিন্তু নার্গিস যখন রাজ কাপুরের সঙ্গে দেখা করলেন, তখন তিনি বিবাহিত ছিলেন। এমন অবস্থায় দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এগোতে পারে না। পরে নার্গিস সুনীল দত্তকে বিয়ে করেন।
৪. দেব আনন্দ - সুরাইয়া:- দেব আনন্দ খোলাখুলি তার ভালোবাসার কথা জানালেন। দেব আনন্দ সবসময় বলেছিলেন যে তার প্রথম প্রেম ছিল সুরাইয়া। সুরাইয়াও দেব সাহেবকে ভালোবাসতেন। কিন্তু হিন্দু-মুসলিমের দেয়ালের কারণে দুজনের প্রেমই গন্তব্য পেতে পারেনি। পেয়ার পরিবারের সদস্যদের অনুমোদন পাননি এবং দুজন আলাদা হয়ে যান। এর পরে তারা দুজন একক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেননি এবং তমর সুরাইয়া কাউকে বিয়ে করেননি।
৫. সালমান খান - এশ্বরিয়া রাই:-সালমান খান এবং এশ্বরিয়া রাই। সঞ্জয় লীলা বানসালির হাম দিল দে চুকে সনমের সেটে একে অপরের কাছাকাছি এসেছে। তাদের সম্পর্কের মধ্যে অনেক নাটক ছিল। বলা হয়, এশ্বরিয়ার বাবা -মা সালমানের সঙ্গে তার বিয়ের সমর্থনে ছিলেন না এবং এশ্বরিয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'আমি এমন কিছু করব না যা আমার বাবা -মাকে আঘাত করবে। সালমান সম্পর্ক নিয়ে খুব আবেগপ্রবণ ছিলেন এবং তিনি বহুবার হট্টগোল সৃষ্টি করেছিলেন। একই সময়ে, এশ্বরিয়া সেই সময় বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। এমন পরিস্থিতিতে তিনি এই সম্পর্ককে শেষ করে দেওয়াই ভালো মনে করেছিলেন।
৬. শহীদ কাপুর - করিনা কাপুর:- করনা এবং শাহিদ প্রথম দেখা করেন 'ফিদা' (২০০৪) ছবির সেটে। করীনাই শাহিদকে প্রস্তাব করেছিলেন। উভয়ের সম্পর্কও দুনিয়া থেকে গোপন ছিল না। শাহিদের প্রেমে করিনা নন-ভেজ পর্যন্ত খাবার ছেড়ে দিয়েছিলেন।
যাইহোক, 'যাব উই মেট' -এর শুটিং শেষ হওয়ার পর তাদের সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা শুরু হয়। এদিকে, করিনা ২০০৭ সালে 'তাশান' ছবির শুটিংয়ের সময় সাইফ আলি খানের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এবং আজ সে সাইফিনা হয়ে গেছে।
৭. জন আব্রাহাম - বিপাশা বসু:- জন এবং বিপাশা দুজনেই তাদের মডেলিংয়ের দিন থেকেই একে অপরকে চেনেন। দুজনেই অনেক দিন ধরে ডেটিং করছিলেন। কিন্তু দুজনের এই ভালোবাসা সম্পূর্ণ হয়নি। তাদের বিচ্ছেদের পিছনে কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন কাজ করা হয়। কেউ জনকে দায়ী করে আবার কেউ বিপাশাকে। যাইহোক, সব গসিপে কতটুকু সত্য, তা বলা যাবে না।
No comments:
Post a Comment