প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে সোমবার কৃষক সংগঠনগুলি ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। বনধের কারণে রাজ্যের জেলায় মিশ্র প্রভাব পড়েছে। বাম শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা সকালে লাল পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। তাদের দাবী, " লোকেরা নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করছে। রাস্তায় লোক নেই।"
কিন্তু এর বিপরীত দৃশ্যও চোখে পড়ে, কলকাতার রাস্তায় চলছে মেট্রো। পথে ভিড়, চলাচল করছে লোকজন। বনধের সেভাবে কোনও প্রভাব পড়ে নি। বনধ উপেক্ষা করেই যে যার মত ছুটছেন নিজেদের কাজে। বনধের প্রভাব তো পড়েইনি, উল্টে রাস্তায় কাজে বের হয়ে নাকাল হতে হয় ডেইলি পেসেঞ্জারদের। তারা বলেন, "এইভাবে হরতাল করলে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না, শুধু মানুষ হয়রানি হয়।"
ওদিকে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। বাস ছাড়াই তাদের দীর্ঘ সময় স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু প্রাইভেট বাস সার নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একটি বাসও নামেনি। অন্যদিন দীঘা রুটে ২৫০ টি বেসরকারি বাস চলে। আজ সব বন্ধ। বাস চালক তাপস ঘোষ বলেন, "কিছু গাড়ি যাচ্ছে। আমি যাত্রী না থাকায় গাড়ি থামিয়েছি। মাত্র কয়েকটি সরকারি বাস চলাচল করছে কিন্তু অভিযোগ করা হয়েছে যে আন্দোলনকারীরা সরকারি বাস অবরোধ করে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখায়। যদিও পুলিশ সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয়। "
উত্তরবঙ্গের জেলায় এই বনধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে। জলপাইগুড়িতে অনেকে দোকান খোলা রাখছে, আবার অনেক জায়গায় বাজার নীরব । শহরের শান্তিপাড়া এনবিএসটিসি বাস ডিপোর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বনধ সমর্থকরা। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয় এবং বাস চলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।
সিআইটিইউর সহ-সভাপতি কৃষ্ণ সেন বলেন,"ধর্মঘট সফল করতে আমি সক্রিয়ভাবে রাস্তায় নেমেছি। শান্তিপাড়ায় পুলিশ আমাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষ ধর্মঘটে সমর্থন দিচ্ছে । গাড়িতে যাত্রী নেই এটাই প্রমাণ। দেশ বাঁচানোর জন্য এই ধর্মঘট । " অনেক চা বাগান খোলা। বাগানের শ্রমিক সকাল থেকে কাজ করছে। পাতা তোলার কাজ চলছে। ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে নি চা বাগানগুলোতে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে ধর্মঘট তেমন প্রভাব ফেলেনি। আর পাঁচটা দিনের মত স্বাভাবিক ভাবেই চলছে বাস। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বনধের সমর্থকরা স্থানীয় বাজারে হাজির হয় এবং সবজি ও মাছের বাজার বন্ধ করার অনুরোধ জানায়।
No comments:
Post a Comment