প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে বিজেপি দল ভাঙন রোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। মুকুল রায় সহ চারজন বিজেপি বিধায়ক ইতিমধ্যেই টিএমসিতে যোগদান করেছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় সম্প্রতি ঘাসফুল শিবিরে এসেছেন। একই দিনে, ভবানীপুরে প্রচারণা চালানোর সময় তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে খেলা সবে শুরু হয়েছে ভবিষ্যতে আরও অনেক বড় চমক অপেক্ষা করছে। অভিষেকের মন্তব্য না কেটে মুখ খুললেন প্রতিমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব দল পরিবর্তনের দিন তিনি যা দাবী করেছিলেন তাতে একটি অশুভ চিহ্ন দেখতে পাচ্ছেন।
ফিরহাদ শুরু থেকেই ভবানীপুরে নির্বাচনী প্রচারণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। প্রতিদিন তিনি ভবানীপুরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেদিন ফিরহাদকে দল পরিবর্তনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তারপর তিনি বলেন, ‘যারা তৃণমূল ছেড়ে গেছে তাদের অনেকেই ফিরে এসেছে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই এমন নাম আসবে, আপনি ভাবতেও পারবেন না। তিনি বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসবেন। এমনকি অনেক বিধায়ক আসছেন, আরও আসবেন। 'কিন্তু কে সেই বড় নাম? "আমি এখনই নাম বলছি না, কিন্তু অপেক্ষা করুন," ফিরহাদ বললেন।
ফিরহাদের দাবী রাজ্যের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যাইহোক, রাজ্য বিজেপি অন্তত জনসমক্ষে ফিরহাদের দাবীকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, "এমনকি ২১৩ জন বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও, যারা আরও বিধায়ক চান তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কতটা বিশ্বাস করেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিজেপিকে এভাবে ভয় দেখানো যাবে না। এ নিয়ে বিজেপি চিন্তিত নয়।"
প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী। এবার এই কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই। প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়াল লড়ছেন বিজেপির হয়ে। সিপিআইএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। স্বাভাবিক কারণে নির্বাচনী হাওয়ায় ভবানীপুর উত্তপ্ত। এরই মধ্যে দল বদলের জল্পনা রাজ্যের রাজনীতিতে ভাসছে, গেরুয়া শিবিরে আকাশে মেঘ দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন সাংসদ এবং বিধায়কদের দল বদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বলা বাহুল্য, ফিরহাদের 'বড় নাম' মন্তব্য শুধু গোলমাল বাড়াবে।
No comments:
Post a Comment