দুই শিশুর অ্যাকাউন্টে ঢুকল ৯০০ কোটি টাকা, হতবাক ব্যাঙ্ক ও প্রশাসন - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 16 September 2021

দুই শিশুর অ্যাকাউন্টে ঢুকল ৯০০ কোটি টাকা, হতবাক ব্যাঙ্ক ও প্রশাসন


প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : হঠাৎই অ্যাকাউন্টে ঢুকছে কোটি কোটি টাকা। যারা অ্যাকাউন্টে ঢুকছে বিপুল পরিমাণ এই টাকা তিনি ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাঠিয়েছেন। যা শুনে হাজার হাজার মানুষ নিজেদের অ্যাকাউন্ট চেক করতে শুরু করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দুই শিশুর অ্যাকাউন্টে ঢুকল কোটি টাকা। যা দেখে ব্যাঙ্ক আধিকারিক থেকে প্রশাসন সকলেই হতবাক। 


  বিহারে হঠাৎ করে মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।  সম্প্রতি খাগরিয়ার এক যুবকের অ্যাকাউন্টে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা এসেছে।  যুব রণজিৎ দাস জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাঠিয়েছেন  টাকা।  এর পর তিনি ১০,০০০ টাকা তুলে নেন।  পরে দেখা গেল ব্যাঙ্কের ভুলের কারণে অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে।  গ্রামীন ব্যাংকের মানসী শাখার কর্মকর্তারা টাকা ফেরত দিতে বলেন।  কিন্তু রঞ্জিত দাস তা করেননি।  এর পরে, যুবকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।


 এই বিষয়টি কেবল আলোচনায় ছিল যে কাটিহার থেকে একটি নতুন মামলা এসেছে।  এখানে দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে 900 কোটি টাকার বেশি এসেছে।  এই অর্থ কোথা থেকে এল তা নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মকর্তারাও বিভ্রান্ত।  এর পরে মনে কাটিহারের ব্যাংকে ভিড় জমে।  অন্যরাও তাদের নিজ নিজ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করতে শুরু করে।  


 তথ্য অনুযায়ী, বিহারে স্কুল ছাত্রদের দেওয়া হয়  টাকা।  এই পরিমাণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসে।  দুই শিশু গুরুচন্দ্র বিশ্বাস এবং অসিত কুমার  সিএসপি সেন্টারে পৌঁছে জানতে চাইলো পোশাকের পরিমাণ এসেছে কি না।  শিশু দুটি আজমনগর থানার বাঘোড়া পঞ্চায়েতে অবস্থিত পস্তিয়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।  এখানে দুজনেই জানতে পারে যে অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা আছে।  এটা শুনে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অন্যরাও হতবাক হয়ে গেল।  ছাত্র গুরুচন্দ্র বিশ্বাসের অ্যাকাউন্টে ৬০কোটি টাকারও বেশি জমা আছে - ১০০৮১৫১০৩০২০৮০৮১। যেখানে অসিত কুমারের অ্যাকাউন্টে ৯০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা জমা আছে - ১০০৮১৫১০৩০২০৮০০১। উভয় অ্যাকাউন্টই উত্তর বিহার গ্রামীণ ব্যাংক ভেলাগঞ্জ শাখার।


 এ প্রসঙ্গে শাখা ব্যবস্থাপক মনোজ গুপ্ত বলেন, উভয় সন্তানের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ প্রদান বন্ধ করা হয়েছে।  বিষয়টি তদন্তাধীন।  উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। 



 এলডিএম এম কে মধুকর জানান, ব্যাঙ্ক থেকে বিষয়টি আসার পর তদন্ত করা হবে।  তবে ব্যাঙ্ক কর্মকর্তাসহ সবাই হতবাক।  এছাড়াও, শিশু এবং তার বাবা -মা জানে না এই অর্থ কোথা থেকে এসেছে।


 এ প্রসঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উদয়ন মিশ্র বলেন, তিনি এই বিষয়ে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।  প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে, একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে মিনি স্টেটমেন্টে এত বিপুল পরিমাণ দৃশ্যমান ছিল।  শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা জমা হয়নি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad