প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: মা হওয়া একজন নারীর কাছে সবচেয়ে সুখের। পৃথিবীর সব আনন্দ একদিকে আর মা হওয়ার খুশি একদিকে। যখনই কোনও নারী প্রথম জানতে পারেন যে, তিনি যা হতে চলেছেন, তখন থেকেই হবু সন্তানের আসার অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকেন। এমনকি গোটা পরিবার খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠে এই সময়। তবে অনেকসময় গর্ভপাতের মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এই সমস্ত আনন্দ মাটি করে দেয়। পাশাপাশি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন হবু সন্তানের বাবা-মা।
কিন্তু কেন হয় এই গর্ভপাত? বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভপাতের সঠিক কারণ সম্পর্কে বলা যায় না, একথা ঠিক। তবে নির্দিষ্ট কিছু চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় নারীদের সতর্ক থাকতে। নাহলে তা গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেইসকল মেডিক্যাল কন্ডিশন সম্পর্কে-
থাইরয়েড: থাইরয়েড আজকাল একটি খুব সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারীরা। এই সমস্যাটিকে আপাত দৃষ্টিতে স্বাভাবিক বলে মনে করা হলেও গর্ভাবস্থায় যদি থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তবে আপনাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এটি একটি হরমোন সংক্রান্ত সমস্যা। এই সময় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটিই কখনও কখনও গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ডায়াবেটিস: গর্ভাবস্থায় অনেক নারীর ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দেয়। এইরকম পরিস্থিতিতে, হবু মায়েদের উচিৎ সময়ে সময়ে একজন বিশেষজ্ঞের দ্বারা নিজেদের পরীক্ষা করানো। ডায়াবেটিস কখনও কখনও গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের কারণে শিশুর মধ্যে রোগ ব্যাধি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
ক্রোমোসোমাল অসামান্যতা: নিষেকের সময় শুক্রাণু এবং ডিম্বানু একটি নিখুঁত মিল তৈরির জন্য 23 টি ক্রোমোজোম একত্রিত করে। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। এমনকি এতে সামান্য ত্রুটিও ক্রোমোসোমাল অসামান্যতা বা অস্বাভাবিকতা সৃষ্টি করতে পারে এবং এর ফলে গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে।
হরমোন ভারসাম্যহীনতা: যদি কোনও নারীর আগে থেকেই হরমোনজনিত সমস্যা থাকে, বা তার শরীর পর্যাপ্ত প্রোজেস্টেরন হরমোন তৈরি করে না, যা জরায়ুর আস্তরণের জন্য প্রয়োজনীয়, তাহলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদি এই সমস্যাটি সময়মতো বোঝা যায়, তাহলে ওষুধের সাহায্যে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ফাইব্রয়েডস: জরায়ুর ফাইব্রয়েড, জরায়ুর ত্রুটি বা স্বয়ংক্রিয় রোগ প্রতিরোধ অক্ষমতাও কখনও কখনও গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
উল্লেখিত যে কোনও মেডিক্যাল কন্ডিশনের ক্ষেত্রে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। সেইসঙ্গেই বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা সম্পূর্ণরূপে মেনে চলা উচিৎ, যাতে গর্ভপাতের মত সমস্যা এড়ানো যায়।
No comments:
Post a Comment