বিতর্কের রেশ কিছুতেই কাটছে না বিশ্বভারতীকে নিয়ে। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল কিছুদিন আগেই দাবি করেছিলেন, রাজনীতির আখড়া হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশ্বভারতীকে। এবার রাজ্য শাসকদলকে দুষলেন দিলীপ ঘোষ পাল্টা বিশ্বভারতীতে রাজনীতি করার অভিযোগে। শনিবার প্রাতঃভ্রমণ শেষ করে ইকো পার্কে তিনি বলেন, 'বিশ্বভারতীকে রাজনীতির আখড়া করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভণ্ডামি করার জায়গা নয়। বিশ্বভারতী আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। রাজনীতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা নষ্ট করা হচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, শিরোনামে রয়েছে বিশ্বভারতী বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। রাজনীতি করা হচ্ছে ক্যাম্পাসের মধ্যে, বিজেপি এবং তৃণমূল, দুই রাজনৈতিক দলের কন্ঠেই এই একই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর শুক্রবার বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস ঘেরাও নিয়ে উত্তাল হয়। এই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত হয় তিন ছাত্রকে বরখাস্ত করা নিয়ে। এদিন ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবনও ঘেরাও করেন। এদিকে শুধু বিশ্বভারতী নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও তিন ছাত্রকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন । ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এই বিষয়ে সরব হয়েছেন । তিনি বলেন, 'উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তিনদিন ঘেরাও করা হবে।' রাজ্য রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যের পর এদিন দিলীপ ঘোষ যা বললেন তা রাজ্যের প্রেক্ষিতে অত্যন্ত অর্থবহ।
এদিকে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ শুধু বিশ্বভারতী নয়, এদিন একগুচ্ছ ইস্যুতে সুর চড়ান। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যে পড়ে রয়েছে কেন্দ্রের দেওয়া সাড়ে তিন কোটি ভ্যাকসিন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে তা দেওয়া হচ্ছে না। দিলীপের দাবি, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে টিকাকরণে গতি আনা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, 'বেসরকারি হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে টিকা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সরকারি টিকাকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।'
No comments:
Post a Comment