প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : একটা সময় ছিল যখন মিষ্টির জন্য শুধু গুড় ব্যবহার করা হতো। চিনির ব্যবহার শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। প্রথমে এটি নৈমিত্তিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। যদিও এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক, যা ধীরে ধীরে শরীরের ক্ষতি করে।
জামশেদপুরের আয়ুর্বেদ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ সীমা পান্ডে বলেছেন, চিনি উপকারী হওয়া তো দূরের কথা এটি হল মিষ্টি বিষ। এটি কীভাবে শরীরের অঙ্গগুলির ক্ষতি করে তা প্রতিটি ব্যক্তির জানা উচিৎ। এটি অনেক রোগের কারণ। কিন্তু শিক্ষিত লোকেরা এখনও এটি গ্রাস করছে। এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে চিনি খাওয়া বা না খাওয়া। কিন্তু চিনি খাওয়ার অসুবিধাগুলি জানুন।
চিনি তৈরির প্রক্রিয়ায় সালফার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে সালফার হচ্ছে আতশবাজির মশলা।
সালফার একটি খুব শক্ত ধাতু যা শরীরে যায় কিন্তু বের হয় না।
চিনি কোলেস্টেরল বাড়ায়, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
চিনি শরীরের ওজন অনিয়ন্ত্রণ করে, যা ওজন বাড়ায় ।
চিনি রক্তচাপ বাড়ায়।
চিনি ব্রেইন অ্যাটাকের একটি প্রধান কারণ।
আধুনিক ঔষধে চিনির মিষ্টিকে সুক্রোজ বলা হয়, যা মানুষ এবং প্রাণী উভয়ই হজম করতে পারে না।
চিনি তৈরির প্রক্রিয়ায় ২৩ ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
চিনি ডায়াবেটিস হওয়ার একটি বড় কারণ।
চিনি পেট জ্বালার একটি প্রধান কারণ।
চিনি শরীরে ট্রাই-গ্লিসারাইড বাড়ায়।
ব্রিটিশরা প্রায় ২০০ বছর দেশ শাসন করেছিল। এই সময়ের মধ্যে তারা আমাদের সংস্কৃতি এবং মানসিকতাকে কেবল দুর্বল ও বিকৃত করে নি, বরং আমাদের খাদ্যাভ্যাসকে এমনভাবে পরিবর্তন করেছে যে আমরা অসুস্থ হতে শুরু করেছি। ব্রিটিশরা ১৮৬৮ সালে দেশেও চিনি তৈরির জন্য প্রথম মিল স্থাপন করেছিল। আগে ভারতীয়রা খাঁটি দেশি গুড় খেতেন এবং কখনও অসুস্থ হতেন না।
No comments:
Post a Comment