কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে

প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার পর্যবেক্ষণ করে নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার সময় খুন, ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত করবে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। হাইকোর্ট অন্যান্য অপরাধের তদন্তের জন্য এসআইটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিশেষ তদন্ত দলে অংশ নেবেন।

রাজ্য সরকারকে সমস্ত নথিপত্র এবং রেকর্ড তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে।উ চ্চ আদালত  আরও বলেছে, "যদি রাজ্য সঠিকভাবে কাজ না করে তবে এটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনও স্থান নেই বলে উল্লেখ করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, "আমরা আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।  গণতন্ত্রে প্রত্যেকেরই তাদের মতাদর্শ প্রকাশ করার অধিকার আছে কিন্তু  গণতন্ত্রে সহিংসতার কোন স্থান নেই।"

 

তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন যে তিনি এই রায়ে অসন্তুষ্ট এবং প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গে কথিত ভোট-পরবর্তী সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য পিআইএল-এর একটি গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়ায় তার এই বক্তব্য। 

পিআইএলগুলি অভিযোগ করেছে যে, পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী সহিংসতার ফলে মানুষকে আক্রমণ করা হয়েছে, তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা হয়েছে এবং তাদের সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে। তারা এর নিরপেক্ষ তদন্ত এবং জীবন ও স্বাধীনতার সুরক্ষা চেয়েছে।

হাইকোর্ট এনএইচআরসিকে "ভোট পরবর্তী সহিংসতার" সময় বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। প্রতিবেদনে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের পর যে রাজনৈতিক সহিংসতা শুরু হয়েছিল, তা রুখতে ব্যর্থতার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।