প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: তালিবান এবং আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো একটি বড় বিবৃতি প্রকাশ্যে এসেছে। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত স্পষ্ট বলেন যে, ভারতের মনে একটা আশঙ্কা ছিল যে আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হতে চলেছে এবং তার জন্য ভারত প্রথমেই একটি 'কন্টিজেন্সি-প্ল্যান' তৈরি করে রেখেছিল। সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত প্রকাশ্যে বলেন যে আফগানিস্তান নিয়ে ভারত প্রস্তুত এবং যদি সেখানকার পরিস্থিতি ভারতকে প্রভাবিত করে, তাহলে তার জন্যও ভারত প্রস্তুত। এর বিরুদ্ধে সেভাবেই লড়াই করা হবে, যেমন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়।
জেনারেল বিপিন রাওয়াত বুধবার রাজধানী দিল্লিতে ওআরএফ দ্বারা আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে এই কথা বলেন। এই ওয়েবিনারের থিম ছিল 'ইন্দো ইউএস পার্টনারশিপ: একুশ শতকের সুরক্ষা'। এ সময় আমেরিকার ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডার অ্যাডমিরাল জন সি অ্যাকুইনিলোও উপস্থিত ছিলেন।
জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন যে, "আমাদের আশঙ্কা ছিল যে তালিবানরা আফগানিস্তানে আসতে চলেছে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি আসবে এটা আশা করা যায় নি। আমরা কয়েক মাস পরে তাদের আসার আশঙ্কা করছিলাম।" তিনি আরও বলেন যে, এই তালেবান ২০ বছর আগে যেমন ছিল, তেমনি আছে। এবার শুধুমাত্র তালিবানদের অংশীদার বা পার্টনার বদলে গেছে। যদিও জেনারেল রাওয়াত প্রকাশ্যে বলেননি যে, এই 'পার্টনার' কে, কিন্তু তাঁর ইঙ্গিত যে চীনের প্রতি ছিল, একথাই মনে করছেন সকলে। কেননা চীন তালিবানদের স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে কথা বলছে।
সিডিএস বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বিরুদ্ধে তালিবানদের কোন ষড়যন্ত্রের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করে, তাহলে বিশ্ব-সন্ত্রাসবাদ হিসেবে মান্যতা দিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিডিএস জেনারেল তার ভাষণে তালিবানদের 'সমর্থক দেশ'কেও সতর্ক করেছে। পাশাপাশি কড়া বার্তা দিয়েছেন, অ্যাডমিল অ্যাকুইনিলো। তিনি বলেন যে, 'আমেরিকা বন্ধুদের বন্ধু কিন্তু শত্রুতা খুব বেশি ভারি পড়বে।
উল্লেখ্য, যখন থেকে তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করেছে, তখন থেকেই কাশ্মীর সম্পর্কে পাকিস্তান থেকে যা নয় তাই মন্তব্য আসতে শুরু করেছে। যদিও তালিবানরা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে আফগানিস্তানের মাটি অন্য কোনও দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না।
No comments:
Post a Comment