নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা:"কাঞ্জিলাল পরিবারের একমাত্র ছেলেৎবাড়ির ফেরার পথে। খুশির হাওয়া সলুয়া গ্রামে।
বসিরহাট মহাকুমার বাদুড়িয়া থানার চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সলুয়া গ্রামের কাঞ্জিলাল পরিবার। বছর ২৫-এর কপিল কাঞ্জিলাল। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, হাবড়া, অশোকনগরে ক্যাটারিংয়ে নিযুক্ত থাকা যুবকদের সঙ্গে পাড়ি দিয়েছিল আফগানিস্তানে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে, সেখান থেকে মার্কিন সেনার খাবার তৈরি করা ক্যাটারিংয়ের কাজে যুক্ত ছিল কপিল। আফগানিস্তানের কাবুল শহরে কিন্তু সময়ে যত গেছে আঁধার, অন্ধকার ছন্ন হয়ে পড়েছে। গোটা আফগানিস্তান ধীরে ধীরে গ্রাস করেছে তালিবানরা। আফগানিস্তানে তাই তার শেষ ঠিকানা ছিল মার্কিন সেনার নিরাপদ আশ্রয়। এই কঠিন সময়ের মধ্যে শেষ মার্কিন সেনার খাবার তৈরি করে মন জয় করা সবাইকে স্বাভাবিক সুস্থ রাখা তার একমাত্র কাজ ছিল, যার ফল নিরাপদ আশ্রয়ে সে ছিল। অবশেষে মার্কিন সেনার সহযোগিতায় আফগানিস্তানের কাবুলে থেকে কাতারে পৌঁছায় সে।
ছেলে যাতে দেশে ফিরতে পারে, তার নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিল কাঞ্জিলাল পরিবার। কিন্তু শনিবার ছেলের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে তিনি পুরো বিষয়টা জানায়। তিনি জানায়, আগৈলঝাড়ায় কাবুল থেকে মার্কিন সেনার সহযোগিতায় কাতারে পৌঁছান। এখন তিনি বাড়ীর পথে। আর এই খবর শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে কাঞ্জিলাল পরিবার।
যেভাবে তালিবানদের অত্যাচার দেখছে গোটা বিশ্ব। তাতে প্রতিটা মুহূর্ত যেন সিনেমার শুটিংয়ে মত। এরপর শুক্রবার রাতের বেলা কপিলের মা অঞ্জু কাঞ্জিলাল, বাবা জয়দেব কাঞ্জিলালের সঙ্গে ভিডিও কলিং এ কথা হয়েছে কপিলের। তিনি জানিয়েছেন নিরাপদে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কাতারের বিমান বন্দরে ভারতীয় বিমান ওড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আজও কপিলের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেেসকলে। যেমন সামনে থেকে তাকে চাক্ষুষ একবার দেখা, অন্যদিকে রূপকথার মতো আফগানিস্তানের গল্প শোনা সবটাই সময়ের অপেক্ষায় কাঞ্জিলাল পরিবারসহ সলুয়া গোটা গ্রামের মানুষ।
No comments:
Post a Comment