নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুপ্রভাত ঘোষের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা দুষ্কৃতীদের। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। তদন্তে পুলিশ।
ব্যারাকপুর পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত এন এন বাগচি রোড পুলিশ পাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তথা ব্যারাকপুর পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌর পিতা সুপ্রভাত ঘোষের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। শুক্রবার রাত এগারোটা নাগাদ একটি স্কুটিতে করে তিন জন দুষ্কৃতী এসে দুটি বোমা ছোড়ে; একটি বোমা রাস্তায় ফাটে, অপরটি পাশের বাড়ির দেওয়ালে লেগে বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় নিজের ঘরে বসে মোবাইলে কাজ করছিলেন ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুপ্রভাত ঘোষ। বোমার আওয়াজ পেয়ে তিনি বারান্দায় এসে দেখেন রাস্তাতে কেউ নেই। দ্রুত গতিতে একটি স্কুটি এলাকা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে এবং এলাকা বোমার ধোঁয়োতে ভরে গিয়েছে।
সাথে সাথে এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় স্থানীয় টিটাগর থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে ঘটনার খবর পেয়ে খানিকক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হন টিটাগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য তথা ব্যারাকপুর শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি রাজা পাসোয়ান, ব্যারাকপুর পৌরসভার বিদায়ী পৌর পিতা নওশাদ আলম শেখ রাজা, তপন কুমার দে, উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জয়দীপ দাস, যুগ্ম সম্পাদক অমল মিত্র।
ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সুপ্রভাত ঘোষ জানান, তার সাথে কারও তেমন শত্রুতা নেই যে, তার বাড়ি লক্ষ্য করে এমন বোমাবাজির ঘটনা ঘটাবে।অপরদিকে ব্যারাকপুর পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌর পিতা নওশাদ আলম ঘটনার জন্য বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দায়ী করেন।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টিটাগর থানার পুলিশ। রাস্তায় থাকা টিটাগর থানার সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার জন্য।
No comments:
Post a Comment