নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: টেলিমেডিসিন পরিষেবায় অত্যন্ত সাফল্যের সাথে সারা রাজ্যের বিচারে প্রথম পাঁচটি জেলার মধ্যেই রয়েছে মালদা। পাশাপাশি টেলিমেডিসিন পরিষেবায় রোগীদের ওষুধ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যে প্রতিদিনের গড় অনুপাতে মালদা জেলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এমনটাই জানালেন মালদা ডেপুটি সি এম ও এইচ ৩ ডাক্তার সব্যসাচী চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথীর পর ২ আগস্ট রাজ্য টেলি-মেডিসিন পরিষেবা, যার পোশাকি নাম স্বাস্থ্য ইঙ্গিত প্রকল্পের সূচনা করেছিল রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ ত্রিবেদী। গ্রামীণ স্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে মানুষকে চিকিৎসা পৌঁছে দিতেই এই প্রকল্প। টেলিমেডিসিন পরিষেবায় গ্রামের মানুষকে আর কষ্ট করে ডাক্তার দেখাতে শহরে আসতে হবে না। ফোনে বা অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন তারা। অনলাইনেই প্রেসক্রিপশনও পাওয়া যায়।
মালদা জেলায় ৬৩ টি সাব সেন্টারে টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই সাব-সেন্টারগুলিতে একজন করে স্বাস্থ্যকর্মী নিযুক্ত করা হয়েছে। ইংলিশ বাজারের ব্লকের নিমাইসড়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেখা গেল রোগীদের টেলিমেডিসিন পরিষেবা নিতে পাশাপাশি অনলাইনে চিকিৎসকরা রোগীদের দেখছেন।
মালদা ডেপুটি সিএমএইচ ৩ ডাক্তার সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান, গৌড় বঙ্গের অন্য জেলার সঙ্গে রাজ্যে মালদা স্বাস্থ্য ইঙ্গিত প্রকল্পে পঞ্চম স্থানে রয়েছে, রিপোর্টেই এমন তথ্য মিলেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে বাইশটি জেলার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে হুগলি। এরপরেই উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর , কোচবিহার, কালিংপং, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা ও পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ জেলা রয়েছে। গৌড় বঙ্গের তিন জেলার মধ্যে উত্তর দিনাজপুর দ্বিতীয় স্থানে এবং মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি সাব সেন্টারে রোগীদের জটিল রোগ ছাড়া প্রেশার, সুগার চেক করা হচ্ছে। জেলাজুড়ে এই পরিষেবা চালু হওয়াতে প্রচুর মানুষ এই প্রকল্পের আয়ত্তে আসছেন। এটা খুব ভালো দিক। আগামী দিনেও এই পরিষেবার মান ধারাবাহিকতা যাতে বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
No comments:
Post a Comment