প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: ব্যারাকপুর হনুমান মন্দিরের উন্নয়ন নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলাকালীন সময়ে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর উপর দুষ্কৃতী হামলার নিন্দা করেছেন দমদমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। সোমবার ভাটপাড়ায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌগত রায় বলেন, "এই ঘটনা লজ্জা ও দুঃখের। আমরা এখন রাজের বাড়িতে যাচ্ছি।"
তার অভিযোগ, "মনীশ শুক্লার আগে যে গুন্ডারা ছিল তারাই এই হামলা চালিয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।"
হনুমান মন্দির ট্রাস্টের দু'কোটি টাকা লুটের জন্য তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বলে ব্যারাকপুরের অর্জুন কাপুরের সংসদ অর্জুন সিং যে মন্তব্য করেছিলেন, সে সম্পর্কে সৌগত রায় বলেন, "এসব বাজে কথা বরং ওরাই সব টাকা গুলো মারছিল। রাজ চক্রবর্তী ওইটা বন্ধ করার জন্য একটা সৎ প্রচেষ্টা করছিল আর সেটাকে বানচাল করতেই গুন্ডা আক্রমণ চালানো হয়েছে।"
অন্যদিকে রাজের ওপর হামলা নিয়ে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং কে নিশানা করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নাম না করেই জ্যোতিপ্রিয় বলেন, "সমস্ত জায়গায় একটি নির্দিষ্ট লোক এই অশান্তি করে বেড়াচ্ছে। আমরা কাউকে শাস্তি দেবো না। ভগবান আছে, তার ব্যবস্থা ভগবান করে দেবে।" জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, "তার (অর্জুন সিং) দুটো টার্গেট- একটা মানুষকে খুন করা, অন্যটি হলো টাকা পয়সা তোলা।"
এদিকে রাজ চক্রবর্তী ও ব্যারাকপুর পৌরসভা পৌর প্রশাসক উত্তম দাস সহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চেষ্টা এবং গন্ডগোল পাকানোর অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে টিটাগর থানার পুলিশ। সোমবার তাদের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত দু'পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে ধৃত ১৩ জনের মধ্যে ৪ জনকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন এবং বাকী ৯ জনকে পাঁচদিনের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত থেকে বের হওয়ার সময় ধৃতদের মধ্যে একজন জানান, তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ তাদের ফাঁসানো হয়েছে।
অপরদিকে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যও জানান, বিনা দোষে যুবকদের ফাঁসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্যারাকপুর রেল স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মের হনুমান মন্দিরে উন্নয়ন নিয়ে রবিবার বিকালে এক বৈঠকে ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, ব্যারাকপুরে পৌর প্রশাসক উত্তম দাসের উপর হামলার চেষ্টা হয়। মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীদেরও। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। ওই ঘটনা তদন্তে নেমে টিটাগর থানার পুলিশ ১৩ জনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মারধর, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment