প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : করলার নাম শুনলেই মানুষের মুখে তেতো ভাব আসতে শুরু করে। কিন্তু আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, করলার রস এত উপকারী যে প্রত্যেকেরই এটি প্রতিদিন খাওয়া উচিত। করলার রস কিছু মানুষের জন্য বর হতে পারে। কারণ, এটি সমস্যাগুলোকে নির্মূল করে। করলা এবং করলার রস সম্পর্কে জেনে নিন ।
করলার নির্যাস (করলার রস) একটি চমৎকার রক্ত পরিশোধক। আপনি যদি প্রতিদিন আধা গ্লাস করলার রস পান করেন, তাহলে আপনি ভিটামিন সি এর দৈনিক চাহিদার ৯৩ শতাংশ পান। যা শরীরকে সুস্থ ও সবল করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া করলার রসে ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ফলিক এসিড, পটাশিয়াম ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি থাকে।
করলার রস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যা থেকে নিম্নলিখিত সুবিধা পাওয়া যায়।
করলার রস একটি বর। কারণ, বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ার অর্থ হল আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ দুর্বল। এটিকে শক্তিশালী করার জন্য ভিটামিন সি প্রয়োজন এবং করলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।
করলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বর । করলাতে উপস্থিত স্যাপোনিনস এবং টেরপেনয়েডস নামক জৈব সক্রিয় যৌগ রক্ত থেকে গ্লুকোজকে কোষে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। করলা খাওয়া কোষ দ্বারা গ্লুকোজ ব্যবহারে সহায়ক।
করলার রস ত্বকের জন্য উপকারী, এটি উজ্জ্বল এবং দাগহীন মুখের জন্য খুবই উপকারী । কারণ, করলা রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। যার কারণে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
করলার রসের উপকারিতা - চুল শক্ত হওয়া,
রক্ত বিশুদ্ধ করা এবং রক্ত চলাচল উন্নত করাও চুলের উপকার করে। যার কারণে চুল মজবুত ও লম্বা হয়। কারণ, সঠিক রক্ত প্রবাহের কারণে পর্যাপ্ত পুষ্টি চুলের গোড়ায় পৌঁছায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে , পেটের কৃমির চিকিৎসার জন্য করলার রস খাওয়া উচিৎ। এজন্য আপনাকে এক গ্লাস ছোলা মিশিয়ে করলার রস পান করতে হবে। এতে আপনার পেটের কৃমি কমে যাবে।
এখানে প্রদত্ত তথ্য কোন চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। এটি শুধুমাত্র শিক্ষার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment