নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: ফের নাবালিকা ধর্ষণ মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। অভিযুক্তকে ধরে এনে গণধোলাই গ্রামবাসীদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-বৃষ্টি। মাথা ফাটল এক এএসআই পুলিশ অফিসারের। আহত আরও এক সিভিক পুলিশ। রাত ভোর তীব্র উত্তেজনা হরিশ্চন্দ্রপুরে। নামল বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামল র্যাফ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার চন্ডিপুর গ্রামে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরতা তথা নয় বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ষাট বছর বয়সী এক প্রৌঢ়র বিরুদ্ধে। নজরুল ইসলাম ওরফে ভোলা নামে ওই ব্যক্তি চালের ব্যবসা করে। সে ব্যবসাও অবৈধ। বিশেষ করে রেশন দোকানে পাওয়া চাল বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে নিজের গোডাউনে মজুত করে। পরে চড়া দামে বিক্রি করে। গ্রামের বহু দরিদ্র পরিবার কিছু টাকার লোভে নিজেদের প্রাপ্য চাল তাঁর কাছে বিক্রি করে। শুক্রবার বিকেলে ওই গ্রামের এক দিনমজুরের পরিবারের কাছ থেকে ৩৫০ টাকা দিয়ে চাল কিনবে বলে সেই ব্যক্তি যায়। চাল সংগ্রহ করে সে জানায় কাছেই তাঁর গোডাউনে সেই চাল মেপে দেখে তবেই সে টাকা দেবে। সে কারণে ওই দিন মজুরের ওই নাবালিকা মেয়ে ও আরও ছোটো তাঁর এক ভাগ্নিকে সঙ্গে নিয়ে যায়।
গ্রামবাসী ও নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, গোডাউনে চালের টাকা দেওয়ার নাম করে দুজনকে নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁর ভাগ্নিকে বাইরে রেখে তাঁর মেয়েকে গোডাউনের ভেতর নিয়ে গিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় সে ঘরে ফিরলে জানতে পারেন তাঁর মা। অন্যদিকে নজরুল ওই নাবালিকার হাতে ৩৫০ টাকা গুঁজে দিয়ে পালায়। বিষয়টি জানাজানি হতে হতে রাত হয়ে যায়। দ্রুত রক্তাক্ত নাবালিকাকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল পরে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ইতিমধ্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসীরা। খুঁজে ধরে নিয়ে আসে নজরুলকে। এরপরেই শুরু হয় গণধোলাই। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে গেলে মারমুখী হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইট-বৃষ্টি।। মাথা ফেটে যায় এ-এস-আই অফিসার অজিত মন্ডলের। এক সিভিক পুলিশও আহত হয়। ছুটে যান এসডিপিও। সঙ্গে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি, বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে। নামানো হয় র্যাফ। এক রকম খন্ড যুদ্ধের পরে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এলাকায় এখন তীব্র উত্তেজনা। টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী, র্যাফ।
No comments:
Post a Comment