নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা: হাট বসানোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র দেগঙ্গা। হাটে আসা নিরীহ চাষিদের উপরে নির্বিচারে লাঠিচার্জ দেগঙ্গা থানার পুলিশের। ঘটনাস্থলে তীব্র উত্তেজনা। দেগঙ্গা থানা ঘেরাও করে কয়েকশো চাষীদের বিক্ষোভ। ঘটনার সূত্রপাত হয় রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে।
হাটবারে আন্তর্জাতিক রূটের রাস্তার ওপর বসে হাট। যানের জট পাকিয়ে যায় রাস্তা। ফলে ভারত বাংলাদেশের সাথে আমদানী রফতানি পণ্যের ট্রাক থেকে বসিরহাটের সাথে কলকাতা সহ বিভিন্ন রূটের যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয় এই দেগঙ্গা বাজার এলাকার টাকি রোডে। নানা মহল থেকে অভিযোগের আঙুল ওঠে দেগঙ্গা থানার পুলিশের দিকে।
৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক যা টাকি রোড নামে পরিচিত সেই রোডের পাশেই দেগঙ্গা বাজারে প্রতি সপ্তাহের মত হাট বসে রবিবার। আশেপাশের প্রায় শতাধিক গ্রামের চাষীরা তাদের সবজি আনাজ নিয়ে সকালেই পৌঁছে যান এই হাটে রুটি রুজির টানে। দেগঙ্গা হাটের মালিকানা বর্তমানে শাসকদল তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মহলের হাতে। কমিটিও তারা পরিচালনা করেন।
অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময়ে সেই জায়গা অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে নিলাম করেছে হাট কমিটির লোকজনরা। ফলে সাধারন গরীব চাষীরা তাদের সবজি আনাজ নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েন, যার জন্য টাকি রোডে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর পরেই হাট মালিকদের সঙ্গে হাটের জায়গা বেদখলের অভিযোগ তুলে চাষীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে হাট মালিকরা খবর দেয় দেগঙ্গা থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
অভিযোগ, কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিরীহ চাষীদের উপর হাট মালিকদের নির্দেশে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে এবং সবজি আনাজ তুলে নিয়ে যায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। বাদ যায়নি মহিলা ও বৃদ্ধ চাষীরা। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন আশেপাশে গ্রামবাসীরা। পুলিশের এহেন আচরণের তীব্র বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান চাষিরা।
প্রশ্ন হল, পুলিশ কেন চাষীদের সাথে কথা না বলে চাষীদের অভাব-অভিযোগ না শুনে নির্বিচারে লাঠিচার্জ শুরু করলো। তার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ আহত চাষীর পরিবারের সদস্যদের। পুলিশ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন চাষীকে গ্রেপ্তার করেছেন। তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
No comments:
Post a Comment