প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : পাফার মাছ খাওয়ার কারণে কারও মৃত্যুর প্রথম ঘটনা দেশে আলোচিত হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে গির সোমনাথ জেলার ভেরাভালে। যেখানে গত বছর চারজন অভিবাসী শ্রমিক দুর্ঘটনাক্রমে ভেরাভাল বন্দরে এমন মাছ খেয়েছিলেন, যার কারণে একজন শ্রমিক প্রাণ হারান।
গুজরাটে দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র এলাকা রয়েছে এবং এখানে সবচেয়ে বেশি পাফার মাছ পাওয়া যায়। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের সমুদ্র এলাকায় প্রায় ১১ প্রজাতির পাফার মাছ রয়েছে এবং এগুলি মানুষের জন্য মারাত্মক বলে বিবেচিত হয়। যদি পাফার মাছ সঠিকভাবে রান্না না করা হয়, তবে এই মাছ যে ব্যক্তি খায় তাকে মারতে পারে।
২০২০ সালে, চার প্রবাসী শ্রমিক ভেরাভাল বন্দরে পাফার মাছ খেয়েছিলেন, তার পরে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। যেখানে একজন শ্রমিক মারা যান। সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফিশারিজ টেকনোলজি এক বছর পর বড় সাফল্য পেয়েছে। জানা গিয়েছে, পাফার মাছের কারণে শ্রমিক মারা গেছে। শুধু গুজরাটে নয়, গোটা দেশে পাফার মাছ খেয়ে মৃত্যুর প্রথম ঘটনা বলে নিশ্চিত হয়েছে।
পাফার ম্যাচে টেট্রোডোটক্সিন নামে একটি বিষ থাকে, যা সায়ানাইটের চেয়ে ১৫০০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী। এই বিষ পাফার মাছের লিভার এবং ডিম্বাশয়ে জমা হয়। যদি এই মাছটি বিশেষ উপায়ে রান্না না করা হয়, তাহলে এটি খাওয়ার ১৫ মিনিটের পরে একজন ব্যক্তি মারা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment