প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: কোভিড-১৯-এর তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায়, দেশের অনেক রাজ্য এর সঙ্গে মোকাবেলার জন্য তাদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এবার রাজ্যগুলির সম্পূর্ণ মনোযোগ শিশুদের দিকে। সারা দেশে স্কুল খোলার সাথে সাথেই কোভিডের সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
অনেক রাজ্য তাদের হাসপাতালে শিশুদের জন্য আরও শয্যা এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখা শুরু করে দিয়েছে। দেশের অনেক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি শিশুদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে বছরের শেষ নাগাদ কোভিড ভ্যাকসিন শিশুদের জন্যও পাওয়া যাবে। আমাদের দেশে প্রথম পাওয়া করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব চলাকালীন, আমেরিকায় শিশুদের মধ্যে যেভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, মতে করে স্বাস্থ্য বিভাগ হয়ে উঠেছে সতর্ক। এ পর্যন্ত, আমেরিকায় অনেক শিশুর মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এপ্রিল এবং মে মাসে দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেন এবং চিকিৎসা সুবিধার অভাবে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। এখন আগামী কয়েক মাসে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেশের প্রায় ১১টি রাজ্যে স্কুল খুলেছে। আর এরপরেই শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এখন পর্যন্ত এটি কোথাও প্রমাণিত হয়নি যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শিশুদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে।
মহারাষ্ট্রে প্রস্তুতি
মহারাষ্ট্রের পেডিয়াট্রিক টাস্ক ফোর্সের প্রধান সুহাস প্রভুর মতে, "আমরা জানি না যে এইবার ভাইরাসটি কীভাবে প্রভাব ফেলবে। কিন্তু আমাদের এর সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য সবরকম ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা চাই না যে কোন মা তার অসুস্থ সন্তানের জন্য হাসপাতালে শয্যার ব্যবস্থা করার জন্য এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়ান।" করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র সরকার তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
গুজরাট ও মুম্বাইয়ের হাসপাতালে শিশুদের জন্য নতুন শয্যা
মুম্বাই এবং ঔরঙ্গাবাদে এর জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানে নতুন কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে যেখানে শিশুদের জন্য আরও শয্যা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুম্বাইয়ে, শিশুদের জন্য ১৫০০ নতুন শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে, যার অধিকাংশে অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। বিএমসির একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা সুরেশ কাকানি বলেন, "প্রয়োজনে আমরা এখানে শয্যার সংখ্যা দ্বিগুণ করতে পারি।"
গুজরাটেও স্বাস্থ্য বিভাগ শিশুদের জন্য ১৫,০০০ শয্যার ব্যবস্থা করেছে। স্বাস্থ্য কমিশনার জয়প্রকাশ শিবহারে এই তথ্য দিয়েছেন।
শিশুদের জন্য টিকা বর্তমানে পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে
দেশে এইসময় কেবলমাত্র ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য করোনার টিকা উপলব্ধ রয়েছে। Zydus Cadilla এবং Bharat Biotech শিশুদের জন্য টিকা পরীক্ষা করছে। তবে বছরের শেষের আগে এই টিকা উপলব্ধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
No comments:
Post a Comment