নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা: বাড়ির কাছে থেকেই ভ্যানে করে তুলে নিয়ে গিয়ে গনধর্ষণ করা হল এক নাবালিকাকে। পরে অচৈতন্য অবস্থায় তাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। নাবালিকার শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল। মাঝেমধ্যেই সে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলছে। বনগাঁ থানা এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত চাঁপাবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ১৭ বছরের এক নাবালিকা শুক্রবার রাতে বাড়ির কাছেই একাকী ঘোরাঘুরি করছিল। এই সময় কয়েকজন যুবক তাকে একটি ইঞ্জিন ভ্যানে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় নাবালিকা চিৎকার করলেও তার চিৎকার স্থানীয়দের কান পর্যন্ত পৌঁছায়নি।
এরপর তাকে হরিদাসপুর এলাকায় নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেখানে তার উপরে শারীরিক নির্যাতন চলে। তারপর তাকে অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তার ধারে ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সকালে বনগাঁ হাসপাতালে নির্যাতিতাকে দেখতে যান বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপ্তি সরকার। তাঁরা নির্যাতিতার বাড়িতেও যান। তাঁরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন। পাশাপাশি যে কোনও রকমের সহযোগিতার জন্য নির্যাতিতার পরিবারের পাশে তারা দাঁড়াবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কাউন্সিলর দীপ্তি সরকার জানান যে, ওই নাবালিকা এখনও পর্যন্ত অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মাঝেমধ্যে তার জ্ঞান ফিরছে। এরকম অবস্থাতেই সে জানায় যে, শুক্রবার রাতে তাকে কয়েকজন অচেনা ব্যক্তি তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে এবং পরে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment