আফগানিস্তানকে নিয়ে চীন-পাকিস্তানের গোপন ফোনালাপ ফাঁস

প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বুধবার নিজের চীনা সমকক্ষ বাঙ্গ  ই-র সঙ্গে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেন। পাকিস্তানের  বিদেশ মন্ত্রণালয় এই তথ্য দিয়েছে। 

জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির পাশাপাশি যুদ্ধগ্ৰস্ত দেশের সমগ্ৰ রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপরেও জোর দেওয়া হয়। শাহ মাহমুদ বলেন, দেশে শান্তি এবং স্থিরতা পাকিস্তান এবং অন্য ক্ষেত্রগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চীনের বিদেশ মন্ত্রী বাঙ্গ, কুরেশিকে ফোন করে এবং আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে। 

শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজন।" তিনি বলেন, সমগ্ৰ রাজনৈতিক সমাধান আবশ্যক, যার জন্য আফগানিস্তানের সকল নাগরিককে একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিৎ। বিদেশ মন্ত্রণালয় জানায়, কুরেশি পাকিস্তান ও ক্ষেত্রের জন্য শান্তিপূর্ণ ও স্থির আফগানিস্তানের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান আফগান শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। 

তালিবানকে মান্যতা দেওয়ার বিষয়ে চীনের বক্তব্য-

এর আগে বুধবারেই চীন বলে যে, আফগানিস্তানে সরকার গঠনের পরই তারা দেশে তালিবানকে রাজনৈতিক মান্যতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে এবং চীন আশাবাদী যে, নতুন সরকার খোলা সমাবেশ ও ব্যাপক প্রতিনিধিত্বের অধিকারী হবে। বেইজিংয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে যখন এই প্রশ্ন করা হয় যে, চীন কবে তালিবানকে রাজনৈতিক মান্যতা দেবে, চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের প্রবক্তা ঝায়ো লিজিওন বলেন, 'আফগানিস্তানের বিষয়ে চীনের স্থিতি সুসংহত ও স্পষ্ট। 

বিদেশ মন্ত্রণালয়ের প্রবক্তা বলেন, "যদি আমাদের কোনও সরকারকে মান্যতা দেওয়ার হয়, তবে সেক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হল এটাই যে, আমাদের ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকার গঠন হচ্ছে। " তিনি আরও বলেন, "আমরা আশাবাদী যে, আফগানিস্তানে এক খোলামেলা সমাবেশী এবং ব্যাপক প্রতিনিধিত্বের শাসন হবে। এর পরেই আমরা রাজনৈতিক মান্যতা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবব।"

সেইসঙ্গে তিনি একথাও বলেন, অন্যান্য গ্রুপের পরামর্শ অনুযায়ী 'খোলামেলা ও সমাবেশী' সরকার বানানোর পাশাপাশি তালিবানের কোনও রকম আতঙ্কবাদী শক্তি, বিশেষ রূপে শিনজিয়াং প্রান্তের উইগর আতঙ্কবাদী সংগঠন ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম)-কে অনুমতি না দেওয়ার নিজের প্রতিশ্রুতি পালন করা উচিৎ।