প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। সমস্ত দেশবাসীর জন্য এই দিনটি অত্যন্ত গর্বের। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট দেশ স্বাধীনতা লাভ করে, যার নেপথ্যে রয়েছে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ইতিহাস। আমরা সকলেই জানি কত দেশপ্রেমিকদের জীবনের বদলে এই স্বাধীনতা লাভ করেছি আমরা। তবে স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে জড়িত এমন অনেক বিষয় আছে, যা আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা। আজকের এই প্রতিবেদনে থাকছে এমনই কিছু অবাক করা কথা-
দেশে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগঠিত আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একথা আমাদের কারও অজানা নয়। তবে যখন ১৯৪৭ সালে ১৫ ই আগস্ট দেশ স্বাধীনতা লাভ করে, সেদিনের সেই উৎসবে অংশ নেননি গান্ধীজি। তিনি সেদিন দিল্লী থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার নোয়াখালীতে ছিলেন। সেখানে তিনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে হওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসা বন্ধ করার জন্য অনশন করছিলেন।
যখন দেশ স্বাধীনতা লাভ করে, সেইসময় দেশের নিজস্ব কোনও জাতীয় সঙ্গীত ছিল না। যদিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১১ সালেই 'জনগনমন' লিখেছিলেন, তবে তা ১৯৫০ সালে জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা পায়।
১৪-১৫ আগস্ট মধ্য রাতে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ বাক্য পাঠ করান লর্ড মাউন্টব্যাটেন। এরপর জওহরলাল নেহেরু এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
প্রতি স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট এমন হয়নি। লোকসভা সচিবালয়ের এক গবেষণাপত্র অনুযায়ী জওহরলাল নেহেরু ১৯৪৭ সালের ১৬ই আগস্ট লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেন।
সেই বছর ১৫ই আগস্টের দিনই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমারেখা নির্ধারিত হয়নি। এই সিদ্ধান্ত ১৭ই আগস্ট রেডক্লিফ লাইনের ঘোষণা দ্বারা হয়, যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমারেখা নির্ধারণ করে।
আমাদের দেশ ছাড়াও আরও তিনটি দেশের স্বাধীনতা দিবস ১৫ই আগস্ট। এই দেশগুলো হল- দক্ষিণ কোরিয়া; ১৯৪৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে। ব্রিটেন থেকে বাহরীন ১৯৭১ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীন হয় এবং ফ্রান্স ১৯৬০ সালের ১৫ই আগস্ট কঙ্গোকে স্বাধীন ঘোষণা করে।
No comments:
Post a Comment