নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: লাভ নেই জেনেও শুধুমাত্র দেশপ্রেমের ভাবনায় বিগত প্রায় ২৫ বছর ধরে জাতীয় পতাকা বানিয়ে চলেছেন সত্যরঞ্জন সাহা। একা তিনি নন গোটা পরিবার তাকে এই কাজে সহযোগিতা করে চলেছে। করোনা আবহে এমনিতেই মানুষের রোজগার এখন তলানিতে তা স্বত্বেও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকার চাহিদার কথা মাথায় রেখে সমস্ত কাজ এক পাশে সরিয়ে রেখে দুই মাস ধরে শুধু জাতীয় পতাকা বানিয়ে চলেছেন তিনি।
শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পূর্ব চয়ন পাড়ার বাসিন্দা সত্যরঞ্জন সাহা। এই এলাকায় একমাত্র তিনিই জাতীয় পতাকা বানান। তার নাম ও কদর পাড়াময়। নাম না বললেও পতাকা বানানোর কারিগরের বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইলেই শিশু থেকে বুড়ো সকলেই বাড়ির ঠিকানা বলে দিতে পারে।
স্বাধীনতা দিবস আসন্ন। চারদিকে একটা সাজোসাজো রব। তেরঙ্গা পতাকায় সেজে উঠেছে বিভিন্ন দোকান, বাজার। যেন একটা উৎসবঘন পরিবেশ। ১৫ ই আগস্ট দেশবন্দনায় মেতে ওঠে দেশবাসী। জাতীয় পতাকার ব্যাপক চাহিদা থাকে এ সময়। জাতীয় পতাকা বানিয়ে উপার্জন করার প্রবণতার চাইতে দেশবাসী হিসেবে তা তৈরী করতে পেরে গর্ব অনুভব হয় বেশি সত্যরঞ্জনের।
তিনি বলেন, "২/৩ মাস আগে থেকেই তৈরী শুরু হয়ে যায়। তবে এবারও স্কুল বন্ধ থাকায় ছোটো পতাকা কম চলবে। বিধান মার্কেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাজারে পতাকা পাইকারি দিয়ে থাকলেও মহাবীরস্থানেই বেশি পতাকা যায়। জাতীয় পতাকা বানিয়ে খাটুনি অনুপাতে লাভ হয় না বললেই চলে। তবে জাতীয় পতাকা বানাতে পেরে যে গর্ব ও আনন্দ অনুভব করি তার জন্যই পতাকা তৈরী করি।" তিনি আরও বলেন, "করোনার আগে প্রায় ৩০ হাজার পতাকা তৈরী করা হয়েছে। গত বছর ১২ হাজারের মতো তৈরী করা হয়েছিল। এ বছর ১৫ হাজার বানানো হচ্ছে। গত বছরের চাইতে এ বছর চাহিদা একটু বেশি।"
No comments:
Post a Comment