নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা: এবার দুয়ারে পুলিশ। গা গ্রামে পুলিশ মানেই ভয় আতঙ্ক। আর যদি রাতের অন্ধকারে বাড়িতে হাজির হয় তাহলে তো রক্ষে নেই। বুকের দুরু দুরু তখন থরহরি কম্প হয়ে উঠবে। এই চেনা ছবির বাইরেও আছে চমকে দেওয়া আরেক অচেনা ছবি। গ্রামের বহু মানুষ ভয়ে এবং দূরত্বে পুলিশের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। রাজনৈতিক থেকে আর্থিক প্রভাবশালীরা নানা ভাবে শোষন করছে গরীব সাধারণের ওপর। বিরোধীরাও অভিযোগ করছে।
এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। পুলিশ হল প্রভাবশালীদের কাছের মানুষ। পুলিশ চলে ওদের কথায়। এই দুই তকমা ঘোঁচাতে তৎপর হল পুলিশ সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ। অনেকেই বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছেন। তার সরকারের বিরুদ্ধে এবং দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আর রাজ্যে নজির তৈরি করা।
রেশন থেকে ভ্যাকসিন এমনকি সরকারও দুয়ারে। পুলিশ কেন বাদ যাবে? মহকুমা পুলিশ আধিকারিক স্বয়ং দেগঙ্গা থানার পুলিশের আইসি সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছলেন অভিযোগ নিতে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যারা ভয়ে বা বিভিন্ন কারণে কয়েক কিলোমিটার দূরে দেগঙ্গা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে যেতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং জেলা পুলিশের উদ্যোগে দেগঙ্গা থানার পুলিশের সংযোগ পরিষেবার মাধ্যমে দেগঙ্গা ব্লকের চাঁপাতলা পঞ্চায়েত এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনলেন এবং তা লিপিবদ্ধ করলেন পুলিশ আধিকারিকরা । উপস্থিত ছিলেন দেগঙ্গার এসডিপিও সোম্যজিত বড়ুয়া,দেগঙ্গা থানার আই সি অজয় সিনহা, পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ূন রেজা চৌধুরী সহ পুলিশ আধিকারিকরা।
শুক্রবার ৪০ জন সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে তাদের অভিযোগ জানালেন।
No comments:
Post a Comment