প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : হাওড়া আদালতে নিয়ে আসা হয় ধৃত সানি খান কে। তার আগে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শারীরিক পরিক্ষার জন্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সানি খানের বয়স১৯। সে বিবাহিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ বালির পামেলার সাথে। ফোনে যোগাযোগ ছিল দুজনের।
একদিন সানির স্ত্রী পামেলার পক্ষ থেকে যাওয়া ফোন ধরে ফেলে। তারপর দুজনের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পেরে সানির পরিবারে সেই নিয়ে অশান্তি হয়।
সানির স্ত্রী ফোন ধরায় পামেলাও জানতে পারে সানি বিবাহিত। পামেলা সানির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে চায়।
তার পরেই সানি তার খেলা শুরু করে। পামেলা ফোনে যোগাযোগ বন্ধ করতে চায়। সে সানির নম্বর ব্লক করে বলেও জানা গেছে। সানি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানান নম্বর থেকে ফোন করা শুরু করে।পামেলার কিছু ছবি সানির কাছে ছিল। সেগুলোকে ব্যাবহার করে ভয় দেখাতে শুরু করে। শুরু হয় ব্ল্যাক মেইলিং। সে আরও ছবি চাইতে শুরু করে এবং না দিলে, তার সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের সাথেসাথে পামেলার বাবা মাকেও জানাবে।
তারপর থেকে আতঙ্কে ভোগে পামেলা। ছবির জন্য অতিরিক্ত চাপ ও প্রকাশ্যে ছবি চলে আাসার ভয় ও অপমানে সে গলায় ফাঁস লগিয়ে আত্মহত্যা করে।
পুলিশ তদন্তে নামে। আত্মঘাতির আগে পামেলার হাতের ওপরে লেখা ৬ ডিজিটের নম্বর কে কাজে লাগায় পুলিশ। বালি থানার পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর সাইবার বিশেষজ্ঞ দের কাজে লাগিয়ে পামেলার মোবাইল থেকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে তোলা অভিযোগ ও মোবাইল থেকে পাওয়া তথ্যের সুত্র ধরে পুলিশ সানি খানের খোঁজ চালায়। গতকাল গলসি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ হাওড়া সি জে এম আদালতে তাকে পেশ করা হয়।

No comments:
Post a Comment