নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকে। এই ব্লকের দৌলত নগর গ্ৰাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল দলের প্রধানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে দলেরই ১২ জন সদস্য অনাস্থা আনেন এক মাস আগে। মঙ্গলবার ওই ১২ জন সদস্যের স্বাক্ষর ভেরিফিকেসনের জন্য ব্লক অফিসে ডাকা হয়। অভিযোগ, ১১ জন সদস্যকে বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং হেনস্তা করার হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে মূলত পঞ্চায়েতের প্রধান নজিবুর রহমান ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশরাফুল হক ও তার দল-বলের বিরুদ্ধে।
তারপরে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, পুলিশের গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। এমনকি এই ঘটনায় পুলিশের সামনে চলে দুই পক্ষের বিরোধ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তা-ধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক অফিসে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২০টি আসন রয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে দলেরই আরেক সদস্য পিন্টু কুমার যাদব সহ ১২ জন অনাস্থা আনার জন্য ব্লক প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানায়। মঙ্গলবার ছিল ওই ১২ জন সদস্যের স্বাক্ষরের ভেরিফিকেশন। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম গোলমাল বেঁধে যাওয়ায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

No comments:
Post a Comment