প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম গণনা মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। মমতার আবেদনে সায় কলকাতা হাইকোর্টের। তবে বিচারপতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ও আদালতের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করল উচ্চ আদালত। রাজ্য বার কাউন্সিলে এই টাকা জমা করতে হবে এবং এই টাকা খরচ হবে করোনা রোগীদের চিকিৎসায়। তবে আদালতের এই জরিমানার বিষয়ে সন্তুষ্ট নন শাসক শিবির। এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলেও সাফ বার্তা তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মামলায় বিচারের দায় বর্তায় বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের ওপর। তবে বিচারপতির সঙ্গে বিজেপি নেতাদের ছবি ট্যুইট করে বিচারপতির বিজেপি যোগের অভিযোগ তোলে শাসক শিবির। তাই আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন করেছিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে মামলা সরানোর। তৃণমূল দাবী করে, কৌশিক চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে। মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সংশয় প্রকাশ করে বলেন তাঁর এজলাসে মামলা চললে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্ৰশ্ন থেকে যাবে।
এবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মামলা কোন বেঞ্চে হবে তা মাস্টার অব রোস্টার হিসেবে ঠিক করবেন। তবে এদিন কৌশিক চন্দ বাবু জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন কারণ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জন্য নয় বরং বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার জন্যই।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান গোটা বিষয়টি নিয়ে বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টে যাব এই রায়ের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জরিমানা ধার্য করা এটা সম্পূর্ণ ভাবে একটি লজ্জাজনক বিষয়।'

No comments:
Post a Comment