নিজস্ব প্রতিনিধি, উত্তর ২৪ পরগনা: সাতসকালে ৯ টি তাজা বোমা উদ্ধার হতেই আমডাঙ্গা থানা এলাকার বাবপুর গ্রামে ছড়ালো চাঞ্চল্য। আর সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয় জনৈক দোকানদারের বাড়িতে তিনটে, আর এক গ্রামবাসীর বাড়িতে দুটো, আর ক্লাবে চারটে বোমা পাওয়া যায় এদিন। আর একে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা জারি। চড়ছে উত্তেজনার পারদ।
বিরোধীরা দুষছে তৃণমূলকে। অন্যদিকে শাসকদল দুষছে বিরোধীদের, যার অন্যতম প্রধান মুখ আইএসএফ নেতা ও মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী বিশ্বজিৎ মাইতি। আই এফ এফ নেতা তথা স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিত মাইতি আবার সরাসরি আক্রমণ করছেন শাসক দলের সমর্থকদের। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল উপপ্রধান মধুমিতা গুপ্ত যাবতীয় উত্তেজনা ও অন্যায়কে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন বিশ্বজিৎ মাইতির বিরুদ্ধে। বাবপুর গ্রামেরই বাসিন্দা মধুমিতা গুপ্ত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবী করেছেন।
উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছিল গত কয়েকদিন ধরেই, যার কেন্দ্রে ছিল সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে খাদ্যমন্ত্রী ও মধ্যমগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষের ছবিতে আপত্তিকর মন্তব্য করায়। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ স্থানীয় এক গ্রামবাসী বিধায়ককে চোর বলে উল্লেখ করে । অতঃপর তার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভীতি প্রদর্শন করা হয় বলে অভিযুক্তর পরিবারের বক্তব্য। এবার তারই রেশ ধরে বোমা রাখা হচ্ছে কণ্ঠরোধের অঙ্গ হিসেবে এবং একে পশ্চিমবঙ্গর বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলে ব্যাখ্যা আইএসএফ নেতা বিশ্বজিৎ মাইতির।
পাল্টা তৃণমূল নেত্রী মধুমিতা গুপ্ত বলছেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হোক কারণ তৃণমূল অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে তাঁদের দলের সম্মানীয় নেতার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হওয়ায়। তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন বলেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে বিরোধীরা বোমা রাখা সহ এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করছে- দাবী পূর্ব খিলকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মধুমিতা গুপ্তের।
No comments:
Post a Comment