প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : মানুষের প্রতি মানুষের কৌতূহল সর্বদাই থেকে যায়। নিজের থেকেও অন্যের বিষয়ে জানার আগ্রহ মনুষ্যজাতির মধ্যে চিরন্তন, শ্বাশ্বত। অন্য কোনও ব্যক্তিই হোক বা নিজের সম্পর্কেই হোক,চরিত্রের গোপন কথা জানার ইচ্ছা সব মানুষের মধ্যেই প্রবল। কার মনের মধ্যে কী থাকতে পারে, কে কেমন ধরনের ব্যক্তি হতে পারেন, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল জল্পনা রয়েছে। শাস্ত্রজ্ঞরা বলছেন, অন্য কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে জানার অন্যতম উপায় তাঁর হাতের লেখার ধরন। হাতের লেখা দেখেই বোঝা যায় যে একজন ব্যক্তির মধ্যে কোন কোন অজানা দিক লুকিয়ে আছে। এরজন্য রয়েছে বিশেষ পন্থা। আর এই পন্থা নিয়ে আলোচনার আজ চতুর্থ পর্ব।
লেখা শুরুর কারুকার্য :
যাঁদের সইয়ের শুরুর অক্ষরেই কারুকার্য থাকে, সেই ব্যক্তিরা নিজেদের গুণেই নিজেকে উন্নয়নের রাস্তায় নিয়ে চলেন। এরা জন্ম থেকেই শিল্পী।
লেখার ধরন, বড় অক্ষরে ও ছোট অক্ষরে :
অনেকেই সাধারণত যা হাতেরলেখা লেখেন তার চেয়ে বড় আকারের অক্ষর লিখে সই করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে একজন মানুষের মিশুকে স্বভাবের পরিচিতি ঘটে। একজন মানু। কতটা মিশুকে হতে পারেন, বা বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে কতটা মন খোলা হতে পারেন, তা বোঝা যায়। অন্যদিকে, যাঁদের হাতের লেখার তুলনায় সই-তে লেখা অক্ষর ছোট হয় তাঁরা একটু ঘরে থাকাতেই বেশি পছন্দ করেন। বহির্বিশ্বে এঁরা খুব একটা নিজেকে বের হতে দেন না।
লেখার ধরন :
লাইন টেনে তার নিচে 'ডট'
অনেকেই সই করার পর লাইন টেনে তার নিচে একটি করে 'ডট' দেন। এই 'ডট' এর সংখ্যা যদি একটি হয়, তাহলে বোঝায় ব্যক্তি প্রবল সতর্ক ও সজাগ। এঁরা সাধারণত আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকেন। আর যদি 'ডট' দুটি হয় ,তাহলে অন্যের দ্বারা এঁরা পরিচালিত হতে ভালোবাসেন, এমনটাই বোঝায়।
লেখা শেষ অক্ষরের কারুকার্য :
অনেকেরই সই করার সময় শেষ অক্ষরে কারুকার্য দেখা যায়। অনেকেই লেখার পর একটা স্ট্রোক দিয়ে কারুকার্য করেন শেষ অক্ষরে। শাস্ত্রজ্ঞরা বলছেন এমন ব্যক্তিরা পরোপকারী হন। এঁদের এনার্জি, কর্মোদ্যোগ অনেকের থেকে বেশি হয়।
No comments:
Post a Comment