প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : কিংবদন্তি আমেরিকান সংস্থা টেসলার গাড়িগুলি এখন শীঘ্রই ভারতে প্রবেশ করতে পারে। দেশের সরকার টেসলার অন্যান্য অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি আমদানি শুল্ক হ্রাস করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে । তবে এর জন্য বৈদ্যুতিক যানবাহন সংস্থাকে দেশে উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে বিনিয়োগ করতে হবে। টেসলা এর আগে বৈদ্যুতিক গাড়িগুলির আমদানি শুল্ক হ্রাস করার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছিল। দেশে এর সমাবেশ এবং উৎপাদন দেখার আগে এটি সর্বশেষ উৎপাদিত ইউনিট হিসাবে সর্বশেষতম বৈদ্যুতিক যানগুলি আনতে চেয়েছিল।
সরকারী সূত্রের মতে, টেসলা যদি দেশে তার গাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্ল্যান্ট স্থাপনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার সেই অনুরোধটি বিবেচনা করবে। তবে এই আধিকারিক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এই বিষয়ে কোনও ছাড় বা ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট সংস্থার জন্য নয় পুরো সেক্টরেই প্রযোজ্য। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রিক যানবাহন প্রচারে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে কয়েকটি রাজ্য সরকার। দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহন উৎপাদন প্রচারের পাশাপাশি সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে করের সুবিধাও চালু করবে।
টেসলার চিফ এলন মাস্ক বলেছিলেন, তাঁর বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) কোম্পানি ভারতের বাজারে গাড়ি আনতে চায়। তবে ইভিতে দেশটির আমদানি শুল্ক বিশ্বের তুলনায় অনেক বেশি। বর্তমানে ভারত আমদানিকৃত গাড়িগুলিতে ৪০,০০০ ডলারেরও কম দামের ৬০ শতাংশ এবং ৪০,০০০ ডলারের বেশি দামের গাড়িগুলির উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করে। পুরোপুরি উৎপাদিত এই ইউনিটটি অনেক বিদেশী বাজারের তুলনায় আমদানিকৃত গাড়িগুলিকে দ্বিগুণ ব্যয়বহুল করে তোলে।
দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রচারের লক্ষ্যে সরকার এ জাতীয় যানবাহনের উপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করেছে। বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য চার্জার / চার্জিং স্টেশনগুলির জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে। এর বাইরে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যাতে রাজ্যগুলিকে বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলিতে সড়ক শুল্ক মাফ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যা পরিবর্তে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রাথমিক ব্যয় হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
No comments:
Post a Comment