কলকাতায় ধৃত তিন সন্দেহভাজন জেএমবি সদস্যদের সম্পর্কে পুরো তথ্য জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ গোয়েন্দারা। এই তথ্য জানা গেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সূত্র মারফত।
এসটিএফ সূত্রের খবর জেএমবি বড় পান্ডা তাসলিমের নির্দেশেই ভারতে এসেছিল ধৃত তিন সন্দেহ ভাজন জঙ্গি। ধৃতদের আরেক সাগরেত সেলিম মুন্সির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এসটিএফের কর্তারা।
ধৃত নাজিউর রহমান, তার সহযোগী রবিউল ইসলাম এবং শেখ সাবীর ওরফে মিল্কি তিনজনকে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট এ আনা হয়েছে সোমবার । আদালত থেকে এসটিএফ সন্দেহ ভাজন জঙ্গীদের ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
যদিও এই ঘটনার পর বাংলাদেশ পুলিশ পুরো তথ্য জানতে চেয়েছে কলকাতার এসপিএফ সদস্যদের কাছে। তদন্তকারী সূত্রের খবর, জেএমবি অন্যতম শীর্ষ নেতা আলামিনের সঙ্গে এদের যোগাযোগ আছে। পুলিশের অনুমান এদের নির্দেশেই ভারতে এসেছিল ধৃত তিন জঙ্গি। তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের সঙ্গে থাকত সেলিম মুন্সি নামে আরেকজন। তার হদিশ এখনো পায় নি পুলিশ।
হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ঈশান ঘোষ রোডের একটি বাড়ি থেকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ জেএমবির ৩ সন্দেহভাজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে রবিবার ।
ধৃতরা হল নাজিউর রেহমান, শাব্বির, রেজাউল।
কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, বাংলাদেশের পাসপোর্ট এবং জেএমবি সম্পর্কিত প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথিও এসটিএফ উদ্ধার করেছে। সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ইশান্গঞ্জ রোডে একটি বাড়িতে দুটো ঘর ভাড়া করে থাকতো এই তিন জন। এবং যিনি ভাড়া দিয়েছিলেন তাদের অর্থাৎ বাড়িওয়ালা তিনি জানিয়েছেন একজন ফল বিক্রি করতো এবং দুজন ছাতার সরানোর কাজ করতো এই বলে তারা কয়েক দিন হল ভাড়া নিয়েছিল। তারা এই এলাকায় অনেকদিন ধরেই থাকতো তবে এখানকার বাসিন্দারা এবং বাড়িওয়ালা কেউই বিন্দুমাত্র টের পাইনি যে তারা এরকম কাজের সাথে যুক্ত। তবে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ টাস্কফোর্স একটি অভিযান চালিয়ে জেএমবির এই তিন জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
No comments:
Post a Comment