প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক :অবলিউডি’ পরিবার থেকে এসে বলিউডের প্রতিষ্ঠিত নায়িকাদের ঠেলে সরিয়ে নিজের জায়গা করে নিতে সময় নেননি রাধিকা আপ্তে। ৩৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীকে বলা হয় ‘কুইন অব ওটিটি’। আর এখন ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও অস্বীকার করা যাচ্ছে না তাঁকে। বরং দিন দিন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতেও হয়ে উঠছেন অপরিহার্য।রাধিকার মা–বাবা দুজনই ডাক্তার। মা–বাবা চেয়েছিলেন, মেয়েও হাঁটুক তাঁদের রাস্তায়। কিন্তু জীববিজ্ঞান ভালো লাগে না রাধিকার, তিনি ভালোবাসেন গণিত। গণিতেই উচ্চশিক্ষা নিলেন। তবে বলিউডের দিকে চোখ রেখে। এখনো অভিনয়ের ফাঁকে ফাঁকে গণিতের সমস্যা-সাগরে ডুব দেন। সমাধান করেই হাসিমুখে ভেসে ওঠেন। সেটা নাকি তাঁকে বলিউডের গণিত বুঝতে সাহায্য করে। একেকটা গণিতের সমাধানের পর তিনি নাকি আরও ভালো অভিনয় করেন।সে যা–ই হোক, লকডাউনে দুর্দান্ত সব ফটোশুট করে ফ্যাশনের দুনিয়ায় নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করছেন রাধিকা। স্বরা ভাস্বর ও মালবিকা শর্মাকে সঙ্গী করে দেখা দিয়েছেন ভোগ ম্যাগাজিনের ভারতীয় সংস্করণের মার্চ সংখ্যার প্রচ্ছদে। হয়েছেন ফেমিনার প্রচ্ছদকন্যাও।ফিট’ তারকা হিসেবে নামডাক আছে তাঁর। কিন্তু আবার খেতে ভালোবাসেন। আর জিমে গিয়ে ব্যায়ামের কথা মনে হলেই জ্বর জ্বর লাগে তাঁর। ফিল্মফেয়ারের কাছে যে রহস্য ফাঁসও করেছেন তিনি।এক সাক্ষাৎকারে রাধিকা বলেন, ‘আমি খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কখনোই কঠোর হতে পারি না। মনে হয়, পেটের সঙ্গে, মনের সঙ্গে এ মহা অন্যায়। আমি সব খাই। কিন্তু গাণিতিকভাবে এই সবকিছুর মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখি। বিশেষ করে ছুটিতে বাড়ি থাকলে তো আমি চুটিয়ে খাই। ডায়েটিশিয়ানের ফোন ধরতেও ইচ্ছা করে না।'রাধিকা আরও যোগ করেন, ‘তবে হ্যাঁ, পরের সপ্তাহে আমি ঠিকই স্বাস্থ্যকর খাবার খাই। নাচের প্র্যাকটিস বাড়িয়ে দিই। হাঁটি, সাঁতার কাটি, সাইক্লিং করি। মাঝে মাঝে সফট মিউজিক ছেড়ে ইয়োগা করি। জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা আমার পোষায় না। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি একটু বুঝে ব্যালান্স করে খাই, তাহলে কখনোই কঠোর ডায়েটের দরকার পড়বে না।’
তবে খাবারের তালিকা থেকে আলু আর চিনিকে বিদায় করেছেন রাধিকা। খান না তেলে ভাজা কিছুই। তবে হ্যাঁ, কলা দিয়ে বানানো চিপস খান।
No comments:
Post a Comment