প্রেসকার্ড ডেস্ক: নরকের প্রবেশদ্বার সম্পর্কে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। পৃথিবীর অগণিত দ্বারগুলির মধ্যে নরকের দ্বার একমাত্র, যা কেউ দেখেনি, তবে এর জন্য মনের মধ্যে অনেক কৌতূহল রয়েছে। তবে যদি আমরা আপনাকে বলি যে, পৃথিবীতে সত্যই নরকের দরজা রয়েছে, আপনি কি বিশ্বাস করবেন? আসলে, তুর্কমেনিস্তানের করাকুম মরুভূমিটিকে 'নরকের প্রবেশদ্বার' বলা হয়।
কথিত আছে মরুভূমিতে তৈরি এই গহ্বরে একটি প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে, সেখান থেকে মিথেন গ্যাসের কারণে আগুন বের হয়। এই রহস্যের কারণে এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে একটি বড় আকর্ষণ ।
তুর্কমেনিস্তান আগে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে, প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদ এখানে আবিষ্কার করা হয়েছিল। তারপরে রাশিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যে অর্থনৈতিক দুর্বলতা এসেছিল, তার সাথে লড়াই করছিল। গ্যাসের মজুদ এটি অপসারণে সহায়তা করতে পারে। ১৯৭১ সালে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের প্রতিযোগিতায় একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এই বিস্ফোরণটি সেই গর্তকে তৈরি করেছিল, যাকে আজ 'ডোর টু হেল' বলা হয়।
বিজ্ঞানীরা দুর্ঘটনায় মিথেন গ্যাসের বিস্তার বন্ধ করতে একটি পদ্ধতির চেষ্টা করেছিলেন। তারা সেই গর্তের শেষ প্রান্তে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিজ্ঞানীরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে, গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হবে, তবে তা ঘটেনি। আজ, ৫০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আগুন একইভাবে জ্বলছে।
যে গর্তে আগুন জ্বলছে তা ২২৯ ফুট প্রস্থ এবং এর গভীরতা প্রায় ৬৫ ফুট। জ্বলে ওঠার পরে মিথেন ও সালফারের গন্ধ বের হয়, তা দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এই আগুনটি এত ভয়ঙ্কর যে, এর শিখাগুলি কয়েক মিটার উচ্চতায় উঠতে থাকে। এর পাশাপাশি, গর্তের ভিতরে ফুটন্ত মাটিও দৃশ্যমান।
No comments:
Post a Comment