বিজেপিতে সাংসদ বনাম সভাপতি কোন্দল চরমে , তৃণমূলের কাঁটা এখন বিজেপির গলায় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday, 5 July 2021

বিজেপিতে সাংসদ বনাম সভাপতি কোন্দল চরমে , তৃণমূলের কাঁটা এখন বিজেপির গলায়

 





নীলকণ্ঠ চট্টোপাধ্যায়, প্রেসকার্ড নিউজ : সাংসদ বনাম জেলাসভাপতি কোন্দল চরমে বিজেপিতে। কোন্দলের জেরে দলীয় কর্মসূচিতে বাদ বিজেপির রাজ্য এবং জেলা সভাপতির নাম ও ছবি। ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায়।

রবিবারের ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে ফের বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায়। জেলা সভাপতিকে আমন্ত্রণ তালিকা থেকে বাদ রাখার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে ।

রবিবার গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাজারে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষে একটি ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল৷
অনুষ্ঠানে শান্তনু ঠাকুর উদ্বোধন করেন৷
অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ছবি থাকলেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেবের নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়নি ৷

এ বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বনস্পতি দেব বলেন, রক্তদানের মতো কোনও প্রোগ্রাম হচ্ছে বলে আমাদের জানা নেই। ওটা কোনও পার্টির প্রোগ্রাম নয়। দলের ব্যানার পতাকা ব্যবহার হলে দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।

এ বিষয়ে বিজেপির বনগাঁ জেলার আরেক নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন, ' সকলকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে কিন্তু জেলা সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে সে কারণে তিনি আসতে পারেননি৷


এই ঘটনাকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস।

বিজেপির জেলা সভাপতি মনস্পতি দেব আর বিজেপির আরেক নেতার কথার মধ্যে দিয়ে কার্যত ডাহা মিথ্যে কথা প্রকাশ্যে এসেছে তা দুজনের মন্তব্য থেকে পরিস্কার।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপির সাংগঠনিক কোন্দল ছিল চরমে। তখন বনগাঁ ছিল বারাসত জেলার মধ্যে। ততকালিন বিজেপির বারাসত জেলা সংগঠন সভাপতি শংকর চ্যাটার্জি বনগাঁ নিয়ে বেশি সময় ব্যয় করতেন বলে খবর যায় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।

বনগাঁ লোকসভার অধীনস্থ বিধানসভা গুলো লোকসভা থেকেই বিজেপির শক্ত ভিতে পরিণত হয়। লোকসভা ছাড়াও পঞ্চায়েতে বিজেপি ভালো ফল করেছিল। অথচ বারাসত লোকসভা অধীনস্থ বিধানসভাগুলিতে বিজেপির বারাসত জেলা নেতৃত্ব জেতার জন্য কোনও রকম চেষ্টাই করেনি। অমিত শাহের টিমের কাছে ছিল সেই খবর। এরপর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বারাসত সাংগঠনিক জেলা ভেঙে বনগাঁকে আলাদা করে দেয়। ফল স্বরূপ উত্তর চব্বিশ পরগনায় তৃণমূলের জয়ের জোয়ারের মধ্যে বনগাঁ উত্তর এবং দক্ষিণ ছাড়াও গাইঘাটা এবং বাগদা আসনে যেতে বিজেপি।

বিধানসভা নির্বাচনের আবহেই বনগাঁ লোকসভার সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সাথে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ডাক্তার মনস্পতি দেবের সংঘাত শুরু হয়। বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কিছু নেতার সাথে বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শংকর চ্যাটার্জির সাথে মধুর সম্পর্ক তেমনি মনস্পতি দেবের সাথে শংকর চ্যাটার্জির সম্পর্ক সাপে নেউলে তা সর্বজন বিদিত।

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় কান পাতলে এও শোনা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে ডাক্তার মনস্পতি দেবের অপসারণের জন্য দরবারও করা হয়েছে একাধিকবার।

নানা ধরণের গুঞ্জনের মধ্যে রাজ্যসভাপতি থেকে জেলা সভাপতির ছবি এবং জেলা সভাপতিকে আমন্ত্রণ তালিকায় না রাখার ঘটনার পাশাপাশি জেলা সভাপতি ও বিজেপি নেতার পরস্পর বিরোধী মন্তব্য থেকে কোন্দলের পরিস্কার ছবি ফুটে উঠেছে।

ঠাকুর বাড়ির সদস্য তথা বিজেপির বনগাঁ সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সাথে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মনস্পতি দেবের সংঘাত দেখে মুচকি হাসি হাসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক নেতার দাবি, তৃণমূলের গলা থেকে কাঁটা সরে এখন বিজেপির গলায় ফুটেছে। এবার বুঝবে ঠ্যালা। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad