প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক :সম্প্রতি বাংলার তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানের নিজের বিয়ে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর থেকেই আজকাল বহুল চর্চায় রয়েছে লিভ ইন রিলেশনশিপ। বাংলা যখন এই আলোচনায় মত্ত, তখনই পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট এক অভূতপূর্ব ঘোষণা দিয়েছে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার হাইকোর্ট ঘোষণা করেছে ১৯ বছর বয়সী এক কিশোর এবং ২১ বছর বয়সী এক তরুণীর লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকার অধিকার রয়েছে। যেহেতু তারা দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক, তবে তাদের বিয়ের বৈধ বয়স হয়নি। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অরুণ কুমার ত্যাগী বলেন, 'আবেদনকারী প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার কারণে লিভ ইন রিলেশনশিপে একসঙ্গে থাকার অধিকারী। পাশাপাশি যেকোনও ক্ষতি থেকে নিজের জীবন এবং স্বাধীনতার সুরক্ষারও অধিকারী সে।'
বিচারপতি আরও বলেন, আবেদনকারীরা যেহেতু তরুণীর পরিবারের থেকে নিজের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে, এই সম্পর্কে মহালি পুলিশেও প্রাণ রক্ষার আবেদন করেছে, তাই কোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দিচ্ছে ওই যুগলদের জীবনের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও স্বাধীনতা যেন নিশ্চিত করে।'
প্রসঙ্গত, ওই যুগল তরুণীর পরিবারের কাছ থেকে সুরক্ষা পেতেই আইন ও বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হয়। জানা যায়, তরুণীর পরিবার তাদের সম্পর্ক মানতে অস্বীকার করে। তারা তরুণীর বিয়ে অন্যত্র স্থির করতে চায় এবং নিজেদের পরিবারের মান-সম্মান প্রতিষ্ঠার জন্য যুবককে প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আবেদনকারীদের দাবী, যেহেতু কিশোরের বয়স ১৯ বছর এবং তার বয়স বিবাহযোগ্য নয়, তাই বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
লিভ-ইন রিলেশনশিপে থাকা ওই যুগল বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিকদের চিঠি লিখে প্রয়োজনীয় সুরক্ষার আবেদন করেছিল কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বিচারপতি বলেন, 'পুলিশের এই কাজটি করা একেবারেই অনুচিত হয়েছে। তাদের জীবনের সুরক্ষা এবং সম্পর্কের স্বাধীনতা যাতে রক্ষা হয়, সে বিষয়ে পুলিশের অবশ্যই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিৎ পরিস্থিতি অনুসারে,' মন্তব্য বিচারপতির।
No comments:
Post a Comment