নিজস্ব প্রতিনিধি, বাংলাদেশ: বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের দাবীর মুখে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেও রবিবার থেকে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী সব শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু বন্ধ আছে গণপরিবহন চলাচল। শ্রমিকেরা দূর-দূরান্ত থেকে কীভাবে কর্মস্থলে ফিরবেন তার কোনও নির্দেশনা নেই। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে গার্মেন্টসসহ কলকারখানার শ্রমিকেরা। বাধ্য হয়ে তারা যে যেভাবে পারছেন কর্মস্থলমুখী হচ্ছেন। ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভেঙে ভেঙে বেশি ভাড়া ও ভোগান্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে শ্রমিকদের। করোনাকালে এ যেন এক ভয়াবহ দৃশ্য।
ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এসব পরিবহনে নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুন ভাড়া। কর্মস্থলে ফেরার তাগিদে বাড়তি ভাড়া দিয়েই গাজীপুর, আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের এলাকায় যাচ্ছেন শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের প্রবেশপথ ঢাকার বাবু বাজার ব্রিজের আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, রিকশা ও পিকআপ ভ্যানে করে মানুষ ঢাকায় ঢুকছে। এছাড়াও দলে দলে মানুষ হেঁটেও ঢাকায় ঢুকছে।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনে ফেরিতে সাধারণ যাত্রী পারাপারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঠেকানো যাচ্ছে না যাত্রীদের। জরুরি পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি ঘাটে ভেড়ামাত্রই উঠে পড়ছে হাজার হাজার যাত্রী। ভোগান্তি সঙ্গী করে কর্মস্থলে ফিরছেন অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্য।
No comments:
Post a Comment