প্রেসকার্ড নিউজ : মেধাবী পড়ুয়ার মর্মান্তিক পরিণতি! চাকরির সন্ধানে ছোটাছুটি করতে করতে শেষকিনা মাথাটাই বিগড়ে গেল! মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে এখন শিকল দিয়ে বেঁধে কাজ যেতে হয় মা-কে। পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। এভাবে আর কতদিন? উত্তর জানা নেই কারও।
বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম শালবনী। এই গ্রামেরই থাকেন প্রশান্ত মান্ডি। একসময়ে মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। স্কুলের গণ্ডী পেরনোর পর স্নাতক হয়েছেন পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু কলেজ থেকে। তারপর যেন সবকিছু উলটপালট হয়ে গেল!
পরিবার সূত্রে খবর, কলেজ পড়া শেষ হওয়ার পর চাকরির জন্য ছোটাছুটি করতে শুরু করেন প্রশান্ত। ২০১৬ সালে একটি স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক পদে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার ছেলে আচরণে হতবাক হয়ে যান সকলেই। আচমকাই নিজের সমস্ত শংসাপত্র পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেন প্রশান্ত। এরপর ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। প্রথম দিকে সামান্য় জমি বন্ধক রেখে চিকিত্সা করিয়েছিলেন বাড়ির লোকেরা। কিন্তু তেমন ফল হয়নি। সে আর কতদিন? টাকার অভাবে একসময়ে ইতি পড়ে চিকিত্সায়।
এদিকে ততদিনে প্রশান্তের মানসিক অবস্থার অবনতি হয়েছে আরও। প্রায়ই বাড়ি থেকে ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেন ওই যুবক। ছেলেটার কী হবে? সেই চিন্তা করতে করতেই কয়েক বছর আগে মারা যান বাবা। দাদা কাজের খোঁজে বাড়ি ছেড়েছেন। প্রশান্ত নিয়ে হিমশিম অবস্থা মায়ের। পেটের দায়ে অন্য জমিতে দিনমজুরের কাজ করতে হয় তাঁকে। বাধ্য হয়ে শিক্ষিত ওই যুবককে বাড়িতে শিকল বেঁধে রেখে যান! মর্মান্তিক এই ঘটনার কথা জানেন স্থানীয় বিধায়ক। সরকারি উদ্যোগে প্রশান্ত মান্ডির চিকিত্সার ব্যবস্থ করার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক। প্রশান্ত কি ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে? সেদিকেই তাকিয়ে অসহায় বিধবা মা।
No comments:
Post a Comment