ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন করোনার ভারতীয় ধরন ডেল্টার বিরুদ্ধে ৬৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম বলা জানা গেছে। তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে আজ শনিবার (৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিবৃতিতে ভারত বায়োটেক জানায়, যাদের শরীরে করোনার উপসর্গ নেই তাদের ওপর ৬৩ দশমিক ৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে কোভ্যাক্সিন। আর যাদের উপসর্গ বেশ গুরুতর, তাদের ওপর এর কার্যকারিতা ৯৩ দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত পাওয়া গেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে , ভারত বায়োটেকের করোনার টিকার সামগ্রিক কার্যকারিতা ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর করোনার অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটি ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
দেশের ২৫টি হাসপাতালে ১৩০ জন কোভিড-১৯ রোগীর ওপর কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালটি করা হয়েছে। এতে অংশ নেওয়াদের বয়স ১৮ থেকে ৯৮ বছরের মধ্যে ছিল। টিকা নেওয়ার পরে তাদের ১২ শতাংশের শরীরে মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শূন্য দশমিক ৫ শতাংশের কম অংশগ্রহণকারীর গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছে ভারত বায়োটেক।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সঙ্গে যৌথভাবে কোভ্যাক্সিন উৎপাদন করছে ভারত বায়োটেক। দেশের করোনার টিকাদান কার্যক্রমে শুরু থেকেই সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের পাশাপাশি ভারত বায়োটেকের এই টিকা ব্যবহার হয়ে আসছে।
বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষ্ণা ইলা জানান, ভারতজুড়ে পরিচালিত সবচেয়ে বড় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্য দিয়ে টিকা উৎপাদনে ভারতের সক্ষমতার এক ধাপ এগিয়েছে।
No comments:
Post a Comment