প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের পরে এবং আগে একাধিকবার মমতার সমালোচনায় মুখর হয়েছেনরাজ্যপাল ধনখড়। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও একইভাবে ভীষণ রকম সরব ছিলেন তিনি। এমনকি নারোদা মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর সিবিআই দপ্তরে পৌঁছানো নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। এছাড়া বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারি নিয়েও মমতাকে ধমক দিয়েছেন রাজ্যপাল। সেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেই এবার তলব করল কেন্দ্র। মঙ্গলবার রাতেই তিনি দিল্লি পৌঁছে যান।
তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর, এদিন রাতে দিল্লি গিয়ে অপেক্ষা করছিলেন রাজ্যপাল মোদি-শাহের। তবে এখনও সময় হয়নি তাঁদের কারোর। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনাও কম যথেষ্ট। অপেক্ষায় থেকে থেকে আপাতত কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সেসব মুহুর্তের ছবিও দিয়েছেন ট্যুইটারে।
এদিকে তাঁর এই সফরকে অভিনব ভাষায় কটাক্ষ করতে থাকেন তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। এতদিন চুপ থাকার পর এদিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও মুখ খোলেন।
যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ বুধবার ট্যুইটারে লেখেন, “গুলকিট নিয়ে জামাই নিরাপদে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন।” কী এই গুলকিট, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। লিখেছেন, “গুলকিট হল বাংলা শব্দ। যার অর্থ মিথ্যার ঝুড়ি। অশান্তি তৈরি করতে, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এই মিথ্যার ঝুলি প্রচার করা হচ্ছে।” জামাইষষ্ঠীর দিন এই ট্যুইট দেখে সায়নীর বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। উল্লেখ্য, ট্যুইটারে রাজ্যপালের নাম উল্লেখ করেননি সায়নী।
আলিমুদ্দিনে এদিন বিমান বলেন, “রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করে কাজ করছেন। তিনি উত্তরবঙ্গে গেলেন, আরও একাধিক জায়গায় গেলেন, সব জায়গাতেই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়েই ঘুরছেন। তিনি একজন বিজেপি নেতার মতোই কাজ করছেন। এটা একজন রাজ্যপালের ভূমিকা হতে পারে না।”
রাজ্যপাল পোস্ট পোল, প্রি পোল সবসময় দিল্লি সফর করছেন। বারাসতে রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে মন্তব্য খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের। বারাসত চাঁপাডালিতে আইএনটিটিইউসি আয়োজিত রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রথীন রাজ্যপাল নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল নিজের ভূমিকা যতটা না পালন করছে তার চেয়ে বেশি একটা রাজনৈতিক দলের ভূমিকা বেশি পালন করছেন।
অন্যদিকে রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারাসতে এসে রাজ্যপাল প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক এজেন্টের কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন। রাজ্যপাল সাংবিধানিক পোস্ট ছেড়ে একটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে।
রাজ্যপালের পোস্ট নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, 'রাজ্যপাল নির্বাচিত নন। পদটি মনোনীত।রাজ্যের মানুষ সব দেখছে। নির্বাচনের আগে রাজ্যপাল কি করেছেন। বা পরে কি করছেন। সবটাই দেখছে মানুষ। রাজ্যের মানুষ ভোট দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচিত করেছেন। তাই রাজ্যপালকে নিয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে চান না।'

No comments:
Post a Comment