গদ্দার-বেইমানদের দলে না ফেরানোর বার্তা দিয়ে আবারও ডোমজুড়ে পোস্টার

নিজস্ব সংবাদদাতা, হাওড়া: মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরলেও ঘর ওয়াপসির ব্যাপারে রাজীবে না ডোমজুড়ের তৃণমূল কর্মীদের। শনিবার সকালে তাই ফের রাজীব ব্যানার্জীকে উদ্দেশ্য করেই মীরজাফর, গদ্দার, বেইমান আখ্যা দিয়ে পোস্টার দেখা গেল হাওড়ার ডোমজুড়ের বাঁকড়ায়। ডোমজুড় কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের নামে ঐ পোস্টার পড়েছে। শুধু তাই-ই নয়, সেচ দপ্তরে তদন্ত কমিটি বসিয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ গদ্দারদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এমন আবেদন করা পোস্টারও লক্ষ্য করা গিয়েছে এলাকায়।  

বাঁকড়া বাজার, দোতলা মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টার দেখা যায়, যা ঘিরে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডোমজুড় জুড়ে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও রাজীবের ফেসবুক পোস্টের জেরে একই ধরনের পোস্টার পড়েছিল শলপ এলাকায়। পোস্টে রাজীব লিখেছিলেন, "সমালোচনা তো অনেক হল। মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালচনা করতে গিয়ে কথায় কথা দিল্লি আর ২৫৬ ধারার যুযু দেখালে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না। আমাদের উচিৎ, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কোভিড ও ইয়াস বিপর্যস্ত বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়ানো।" স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এই পোস্ট ঘিরে ওঠে জল্পনার ঝড়, তবে কী রাজীব পুনরায় ফিরতে চাইছেন শাসক দলে! এরপরেই রাজীবের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে শুরু করে শলপ এলাকায়।    

এবার শুক্রবারেই ঘর ওয়াপাসি হয়েছে মুকুল রায়ের। দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পদ্ম শিবিরে কাটিয়ে ঘাসফুলে ফিরেছেন মুকুল। আর মুকুল ফিরতেই আরও অনেকেরই দলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনেও তৃণমূল সুপ্রিমো সাফ জানিয়েছিলেন। তবে সেই সঙ্গেই বার্তাও দিয়েছিলেন, যারা ভোটের আগে গদ্দারি করে দল ত্যাগ করেছে, তাদের কোনও ভাবেই দলে ফেরানো হবে না। আর শনিবার সকাল হতেই রাজীবকে বেইমান, গদ্দার আখ্যা দিয়ে পোস্টার পড়ল বাঁকড়ায়।