নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম বর্ধমান:মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা সহ এক সদ্যোজাত শিশুকে উদ্ধার করা হল সালানপুর ব্লকের লোয়ারকেসিয়া ফাঁকা মাঠ থেকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, মহুলডাঙা এলাকার এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা বেশকিছুদিন ধরে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু সোমবার সকালে কিছু লোক ওই মহিলাকে মাঠে পরে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে সালানপুর থানায় খবর দেওয়া হয় এবং খবর দেওয়া হয় ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিংকে। আর তড়িঘড়ি খবর পেয়েই ভোলা সিং তার কর্মীদের নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়েই আইটিআই সেফ হোমের পিন্টু দাস ও সুভাষ মহাজন একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নামকেশিয়ার মন্দির সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে গিয়ে পৌঁছায়। তারা সেখানে পৌঁছাতেই দেখেন যে, ওই মহিলাটি বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছেন, আর ওই মহিলার পাশেই পড়ে রয়েছে সদ্য জন্ম নেওয়া একটি শিশু। তাদের দুজনকেই সেখান থেকে উদ্ধার করে পিঠাকেয়ারী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং চিকিৎসক তাদের দেখেন। দুজনেই এখন সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা যায়, ওই মহিলা মহুলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩৫-এর ওই মহিলার নাম শ্রাবনী হেমব্রম। মহুলডাঙ্গা দাদার বাড়িতে আগে থাকতেন। কিন্তু দাদাদের অত্যাচারে সে প্রায় চার বছর ধরে বাড়ি ছাড়া। ফলে অত্যাচার ও পারিবারিক যন্ত্রনায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। অবশেষে এদিক-ওদিক ঘুরে খাবার জোগাড় করে। তবে এধরনের ঘটনা প্রায় আমাদের আশেপাশে চোখে পড়ে। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিচু মানসিকতার পরিচয় দেয়, আবার কিছু মানুষ রয়েছে যারা সমাজে ভাল দিক আয়না সামনে নিয়ে আসে।
এই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার ক্ষেত্রে এই ঘটনায় ঘটেছে। যদিও ওই মহিলার কাছে এখন পর্যন্ত ঠিক কি হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে আমাদের এই সমাজের মাঝেই এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা এক ফাঁকা মাঠে শিশুর জন্ম দেওয়াতে কিছু কীট ও নোংরা মানসিকতার মানুষের ভূমিকা কিছুটা হলেও রয়েছে। তা নাহলে এভাবে এক মহিলা ফাঁকা ময়দানে বিবস্ত্র হয়ে পড়ে থাকে! এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া না গেলেও অনুমান করাই যায়।
অন্যদিকে আবার সমাজের পরিষ্কার আয়না ফুটে উঠেছে সেসকল মানুষদের কাছে যারা দিনরাত মানুষের সেবায় নিরলস কাজ করে চলেছে ঝড়-জল-বাদল সবসময় মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এমনই কিছু সমাজে রয়েছে তাদের নাম না করলেই নয়। সালানপুর ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং। তিনি যেভাবে ওই বিবস্ত্র মহিলার পাশে গিয়ে উদ্ধার করে দুটি জীবন বাঁচালেন এতে আয়নার অন্য দিক ফুটে উঠেছে ।

No comments:
Post a Comment