শ্বশুর-জামাইয়ে মধুর সম্পর্ক : আক্রোশে খুনের অভিযোগ জামাইয়ের বাবার বিরুদ্ধে - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 9 June 2021

শ্বশুর-জামাইয়ে মধুর সম্পর্ক : আক্রোশে খুনের অভিযোগ জামাইয়ের বাবার বিরুদ্ধে







কথায় বলে 'যম-জামাই-ভাগ্না, তিন নয় আপনা'। কিন্তু কথার কথা কি সবসময় সত্যি হয় ? অন্যটাও তো ঘটে অনেকসময়। যেমনটা কসবার শ্বশুর-জামাইয়ের মিষ্টি মধুর সম্পর্ক। জামাইকে নিজের ছেলের মতো ভালবাসতেন। কিন্তু হঠাৎই খুন হয়ে গেলেন শ্বশুর। ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বাবার বিরুদ্ধে। অভিযোগ বেয়াই নিজের ছেলের সঙ্গে শ্বশুরের এই হৃদ্যতা মেনে নিতে পারেননি।



কসবার পূর্বাচলের বাসিন্দা বছর ৬৮-র নারায়ণ হালদার। জামাই অন্তপ্রাণ ছিলেন শ্বশুর মশাই। জামাইও তাঁকে বাবা বলে ডাকতেন। দুজনের  সু-সম্পর্ক ছিল বেশ। মেয়ে ও জামাই তাঁর কাছেই থাকতেন। জামাইয়ের বাবা মনোহর দাস। অভিযোগ, মনোহর দাস ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করিয়েছেন বেয়াইকে। শুধুমাত্র ছেলেকে ভালোবাসার আক্রোশের কারণেই কি বেয়াইকে খুন করালেন মনোহর দাস? নরেন্দ্রপুর হত্যাকাণ্ড ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। 


মৃত নারায়ণ হালদারের মেয়ে মান্তু দাস জানান, ৩০ মে সন্ধেয় বাড়ি থেকে নারায়ণ হালদারকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। এরপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। ওইদিনই রাতে তাঁরা কসবা থানায় মিসিং ডাইরি করেন। ৩১ মে রাত ১১ নাগাদ নরেন্দ্রপুরের উচ্ছেপোতা এলাকায় নারায়ণ হালদারের দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে দুর্ঘটনা মনে হলেও, ময়নাতদন্তের পর জানা যায় খুন করা হয়েছে নারায়ণ হালদারকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। একজন সুপারি কিলার  চিত্ত হালদার। অন্যজন হলেন মৃতের জামাই নেপাল দাসের বাবা তথা এই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত মনোহর দাস। আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। 


পুলিসের অভিযোগ, নারায়ণ হালদারকে খুনের জন্য ধৃত চিত্ত হালদারকে ৫০ হাজার টাকার সুপারি দিয়েছিলেন মনোহর দাস। অন্যদিকে নেপাল দাসের দাবি, তাঁর বাবার কাছে খাওয়ার টাকাই থাকত না। তাঁর দাদা বাবার সমস্ত খরচ চালাতেন। সেখানে ৫০ হাজার টাকার সুপারি দেওয়া, তাঁর পক্ষে কীভাবে সম্ভব? যদিও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।  

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad