মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন 30 থেকে 35 জন বিজেপি বিধায়ক, কিছু নেতা আর 23 জন সাংসদ এক্ষুনি আসতে চাইছেন তৃণমূলে। ছাড়তে চাইছেন বিজেপি। শুভ্রাংশু রায় এর এই মন্তব্যের পর নড়েচড়ে বসে বিজেপি । শুধু তাই নয় রাজনৈতিক মহলে ঝড় ওঠে তাহলে বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছে কারা কারা। শুভ্রাংশুর দাবি সত্যি হলে বাংলায় বিজেপি ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে। বাম কংগ্রেস শূন্য বিধানসভা রাজনীতিতে উল্টোদিকে আছে কেবল বিজেপি। আর সেই বিজেপি যদি ভেঙে যায় তাহলে বাংলা হবে কার্যত বিরোধী শূন্য।
গত কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে কাছে একটা তালিকা নানা মাধ্যম থেকে পৌঁছে যাচ্ছিল। যে তালিকায় বেশকিছু নাম। যাদের আছে তাদের মধ্যে একজন হলেন মিহির গোস্বামী। মিহির গোস্বামী বলেন , সংসদ নিশীথ প্রামানিক তার বাড়ি গিয়েছিলেন এরপর তৃণমূলের সম্মান না থাকার কারণে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি তাকে প্রার্থী করে নাটাবাড়ি থেকে । সেখানে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কে হারিয়ে জয়লাভ করেন।
মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর মিহির গোস্বামীকে মুকুল রায় ফোন করেছে বিজেপিতে যোগদানের জন্য এই খবর প্রকাশে আসতে সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় মিহির বাবুর সাথে। মিহির বাবু বলেন সত্যিই বাংলা রাজনীতিতে এক তুলনাবিহীন আশ্চর্য দল। রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর ধুতি ধরে টানাটানি লাঞ্চনা করলে তারই নাম হিসেবে সেই দলে সমাদরে ঢোকে। শ্রমিক না হয়েও শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পর্যন্ত হওয়া যায় । এখানেই থামেননি মিহির বাবু।
তিনি আরো বলেন রাজ্যে ক্ষমতাসীন সেই দলে প্রবল ক্ষমতাবান সাংসদ চুরির দায়ে মাসের পর মাস জেলে থাকাকালীন তাকে প্রকাশ্যে কিছুতেই মুখ খুলতে দেয় না পুলিশ । তিনি জামিন পেয়ে বাইরে এসে প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে যাবতীয় বিষয় দেন। দলের সুপ্রিমো সহ সবাইকে চোর আখ্যা দেন। সরকারি অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ আনেন। সেই তিনি শেষমেষ আবার দলের মুখপাত্র উচ্চ পদাধিকারী হয়ে সম্পূর্ণ উল্টো গাইতে শুরু করেন।
নাম না করলেও মিহির বাবুর কথা অনুযায়ী প্রথম জন হলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আর দ্বিতীয় জন হলেন কুণাল ঘোষ।
মিহির বাবু আরো বলেছেন গত দুই দশক ধরে এমন অনেক সার্কাস তারা দেখেছেন এই দলে। এই দলের হয়ে ভোটে দাড়িয়ে হেরে গেলে পদ মেলে। গাড়ি মেলে । লাল নীল বাতি মেলে। কিন্তু জিতে গেলে সেসব নাও মিলতে পারে। এ দলের ভিতর থেকে হাজার কথা বললেও বা অকাজ কুকাজ করলেও কোনদিন কারো শাস্তি হয় না উল্টে পুরস্কৃত হতে পারে । এ দল ছেড়ে গেলে সে অবশ্যই গদ্দার কিন্তু ফিরে এলে সে আর কিছুতেই গদ্দার নয় । মাথা নিচু করে ভিক্ষা চাইলে দুটো রুটি বা পয়সা ছুড়ে দিতে পারে। কারও দেহরক্ষী গাড়ি-বাড়ি সমেত দিল্লি বৃদ্ধাশ্রমে পুনর্বাসন মিলতে পারে । কিন্তু কখনো কোনদিন এই দলের কাছ থেকে যদি নুন্যতম সম্মানটুকু আশা করেন তবে উত্তর পাবেন, নো। নেভার । যদিও মিহির বাবুর এই অভিযোগ ও দাবি কে আমল দিচ্ছেনা কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
কোচবিহার তৃণমূল নেতৃত্ব পাল্টা আক্রমণ করে বলেন যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য রাজনীতিতে জায়গা পেয়ে পরে সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে হাত মিলিয়েছেন তাদের কথার কোন গুরুত্ব নেই।
No comments:
Post a Comment