মানুষের মধ্যে দূর্নীতি করার প্রবণতা বেড়েছে। আমফান ও ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আবেদনকারীদের মধ্যে তুলনা টানলে এমটাই দেখা যাচ্ছে। আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদনকারীদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ আবেদনকারী ছিল ভুয়া আর ইয়াসে ৯২ শতাংশ আবেদনকারী ভুয়া প্রকাশ্যে এসেছে। সচেতন মহলের দাবি, বাড়িতে ডাবল সিলিন্ডার সরু চালের ভাত খেতে অভ্যস্ত বহু মানুষ সরকারী ভর্তুকির রেশন তুলে দোকানে বেশি দামে বিক্রি করার মানসিকতার ফসল। নেতা মন্ত্রী থেকে জনগন সবারই দূর্নীতি করার প্রবণতা বেশি। এসবের জন্য এমন মানসিকতা কিংবা প্রবণতার মানুষের সাথে দায়ি সরকারী পদ্ধতি এবং রাজনীতি।
ইয়াছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন আবেদনকারীদের মধ্যে 92% ক্ষতিপূরণের আবেদনকারী ভুয়া বেরিয়েছে রিভিউয়ে । 32 হাজার আবেদনকারীর মধ্যে 29 হাজার 700 আবেদনকারী ভুয়া। সঠিক মাত্র 2300 আবেদনকারী ।ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন কারীদের আবেদন কতটা সঠিক তা যাচাই করতে নেমে এমন তথ্য মিলেছে প্রশাসনের।
তদন্তকারী দলের সদস্যদের দাবি, অনেক আবেদনকারীর রয়েছে ছাদের পাকাবাড়ি , অনেকে পেশায় ব্যবসায়ী , তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি । এমনকি অনেকের নেই কোন গবাদিপশুও । তা সত্ত্বেও আবেদনকারীরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে জানিয়েছেন তাদের গরু মারা গেছে , বাড়ি পড়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসা ঘর ।
প্রসঙ্গত আম্ফান এর ক্ষেত্রেও মোট আবেদনের 76 শতাংশ ভুয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আবেদন জমা পড়েছিল । জমা পড়া 2 লক্ষ 64000 আবেদনের মধ্যে প্রায় 1 লক্ষ 99 হাজার আবেদনকারীর আবেদন বাতিল হয় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারনে। আম্ফান ইয়াসের আবেদনকারীদের মধ্যে তুলনা টানলে দেখা যাচ্ছে আম্ফান এর থেকেও ইয়াসে ভুয়া আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি।
No comments:
Post a Comment