রাজ্যের সুরাপ্রেমীদের জন্য দারুণ সুখবর। আর তৃষ্ণার্য় হৃদয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে না একেবারেই। আজ থেকেই খুলছে মদের দোকান। মঙ্গলবার অর্থাৎ ১ জুন থেকে রাজ্যে খুলল মদের দোকান।
জানা গিয়েছে, করোনা বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে খোলা থাকবে মদের দোকান। এক নির্দেশিকা দিয়ে আবগারি দপ্তর জানিয়েছে, খুচরো দোকানের মধ্যেই ধরা হবে ফরেন লিকার অফশপগুলিকে। তবে বার ও রেস্তরাঁ আগের মতোই বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। বলে রাখা ভাল, ১৪ মে থেকে করোনা রুখতে কড়া বিধিনিষেধ জারি করে নবান্ন। বন্ধ করে দেওয়া হয় মদের দোকান। পাশাপাশি, অন্য দোকান-বাজার খোলার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিয়ম জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে জারি রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। সেই বিধিনিষেধেই গতকাল ঘোষণা করে কিছুটা ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে আগের মতোই সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে দোকান, বাজার। বেলা ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত শাড়ি এবং গয়নার দোকান খোলা থাকার কথা। মিষ্টির দোকান খোলার ক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমা। তবে পাটশিল্প এবং নির্মাণ ক্ষেত্রেও কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছিল। টিকা নিয়ে শুরু হতে পারে নির্মাণ কাজ। খুচরো দোকানও খোলা রাখতে দেওয়া হোক, এই আবেদন জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই অনুরোধে সারা দিয়ে বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, খুচরো দোকান এবার বেলা ১২টা-৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। ১০ শতাংশ কর্মী নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রে শুরু করা যেতে পারে কাজ। টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে এমন শ্রমিককে নিয়ে নির্মাণ কাজ করা যেতে পারে। তবে সবক্ষেত্রেই শারীরিক দূরত্ববিধি মানা বাধ্যতামূলক। রাজ্যে জারি হওয়া বিধিনিষেধের জন্য বন্ধ রয়েছে ট্রেন, বাস এবং মেট্রো পরিষেবা। আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যে জারি থাকবে বিধিনিষেধ।
সরকারি নির্দেশিকায় উল্লেখ, খুচরো দোকানের আওতায় পড়ছে মদের দোকানও। সেকারণেই দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে লিকার শপ। তবে সেক্ষেত্রে কঠোরভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে হবে ব্যবসায়ীদের। এমনকী, যদি এলাকায় সংক্রমণ বেশি থাকে, তাহলে মদের দোকান খোলার অনুমিত নাও দিতে পারে জেলা প্রশাসন। আবার যদি দেখা যায়, দোকান খোলার পর অতিরিক্ত ভিড় বা জমায়েত হচ্ছে, সেক্ষেত্রে দোকান বন্ধ রাখা নির্দেশও দেওয়া হতে পারে। তবে সুরাপ্রেমীদের কাছে এই ঘোষণার কার্যকারিতা কতটা সে বিষয়ে সন্দেহ লেগেই আছে। কারণ তাঁরা কেবল সুরায় আসক্ত হন। তাই তো নির্দেশিকা চালু হওয়ার পর থেকেই দুপুর ১২ টার অনেক আগে থেকেই মদের দোকানের সামনে লেগে গেছে লম্বা লাইন। উপচে পড়ছে ভিড়। সকলেই চাইছে যতটা পারে যায় বেশি পরিমাণ মদের বোতল মজুত করে বাড়ি নিয়ে যেতে। এসব দেখে একটি কথাই যেন মাথায় আসে, করোনা হোক বা ইয়াস, সুরা প্রেমীরা আছেন সুরায় ডুবেই।
Post Top Ad
Tuesday, 1 June 2021
সুরা প্রেমীদের জন্য সুখবর : রাজ্যে খুলে গেল মদের দোকান
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment