অবশেষে ভারতে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি টিকা তৈরির অনুমতি মিললো। অনুমতি পেলো সেরাম ইনস্টিটিউট, দেশের অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। সূত্রের খবর, সেরামকে পরীক্ষার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা শুধু ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য উৎপাদন করতে পারবে। এখনই বিক্রি করা যাবে না। পুণের কারখানায় টিকার পরীক্ষা, বিশ্লেষণের পর উৎপাদন করবে আদর পুনাওয়ালার সংস্থা।
জানা গেছে, রাশিয়ার 'গামালেয়া রিসার্চ ইন্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি'-র সঙ্গে যৌথ ভাবে এই টিকা তৈরি করবে সেরাম। সংবাদ মাধ্যমকে সেরামের মুখপাত্র জানিয়েছেন,''স্পুটনিক ভি তৈরির জন্য প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছি। তবে বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য অনেক মাস লাগবে। এই সময়ের মধ্যে কোভিশিল্ড ও কোভোভ্যাক্সই আমাদের অগ্রাধিকার।''
গত বৃহস্পতিবার এই মর্মে আবেদন করেছিল সেরাম ইনস্টিটিউট । তাদের ৪টি শর্তে অনুমোদন দিয়েছে ডিজিসিআই। গামালেয়া রিসার্চ ইন্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির সঙ্গে সেল ব্যাঙ্ক ও ভাইরাস স্টক এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের চুক্তিপত্র জমা দিতে হবে। সেল ব্যাঙ্ক ও ভাইরাস স্টকের আমদানিতে ছাড়পত্রও দেখাতে হবে এই ওষুধ প্রস্তুত কারক সংস্থাকে।
একদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। পাশাপাশি, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি তৈরির জন্য বৃহস্পতিবার ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করেছিল সেরাম। সেই ভিত্তিতে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, চারটি ভিন্ন টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে চারটি ভিন্ন শর্ত দেওয়া হয়েছে সেরামকে। বলা হয়েছে, রাশিয়ার সংস্থা গামালেয়ার সঙ্গে ‘সেল ব্যাঙ্ক’ ও ‘ভাইরাস স্টক’ দেওয়া নেওয়ার বিষয়ে কী চুক্তি হচ্ছে সেরামের তা সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, প্রযুক্তিগত আদান প্রদানের কী চুক্তি হচ্ছে, তাও জমা করতে হবে। রাশিয়া থেকে গবেষণার স্বার্থে কিছু আদান প্রদান করা হলে, সে বিষয়টিও জানাতে হবে।
শুধু ভারত নয়, বিশ্বের টিকা উৎপাদনের এক প্রধানতম কেন্দ্র পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট। কোভিশিল্ড তৈরি করছে এই সংস্থা। অক্সফোর্ডের তৈরি করা এই টিকাটি শুধু ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতেই পাঠাচ্ছে সেরাম। সেই দিক থেকে দেখলে গেলে রাশিয়ার টিকাও সেরামে তৈরি হওয়াটা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। জুলাইয়ের শেষ ও অগস্টের শুরু থেকে দেশে দৈনিক কোটি টিকা দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদি তা দিতে হয়, তাহলে দেশে দ্রুত টিকা উৎপাদনের হার বাড়াতে হবে। স্পুটনিক তৈরির অনুমতি পেলে সে লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ভারত।
No comments:
Post a Comment