বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার পর বিজেপি ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছে মুকুল রায় । সংবাদমাধ্যম থেকে রাজনৈতিক মহলে এমনটাই গুঞ্জন । আর বিজেপির এই ভাঙন আটকাতে দলের এই বিধায়কদের নিয়ে রাজ্যপালের কাছে বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল কাছে গিয়ে আইনের কোন প্যাঁচে এই ভাঙ্গন আটকাতে পারেন শুভেন্দু তা দেখার ।
বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে মুকুল রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে একটা তালিকা দিয়েছেন। যে তালিকায় 35 জন বিধায়ক সাংসদ ও নেতা আছেন । যারা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন। এই তালিকা নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
বলা হচ্ছে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামানিক সহ একাধিক সাংসদকে ফোন করেছেন মুকুল রায়। তবে কতজন সাংসদ মুকুলের ডাকে তৃণমূলে যাবেন তা কোনও সূত্র বলতে পারছে না । তেমনি ভাবে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গে মিলিয়ে শিখা চট্টোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী, বিশ্বনাথ কারক, বিশ্বজিৎ দাস , সত্যেন্দ্র রায়কে ফোন করেছেন মুকুল রায়। তবে এই বিধায়কদের কত জন তৃণমূলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তা জানা যায়নি।
শুভেন্দু ইতিপূর্বে এই দল ত্যাগ আটকাতে তৎপর হয়েছেন। তিনি আগেই বলেছেন বিরোধী দলনেতা হয়ে তিনি এই দল ত্যাগ আইন পাস করাবেন । এখন দেখার শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির ভাঙন রোধ করতে কতটা সফল হবেন ।
দলত্যাগ নিয়ে এবার আসলে নেমেছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় । তিনি ফেসবুক পোস্টে মুকুল রায় কে আক্রমণ করতে গিয়ে লিখেছেন, যে সময় বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে সেই সময় সাদা পাঞ্জাবিতে রক্তের দাগ ধুয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন মুকুল রায় । ওর মত বর্ষীয়ান নেতার পক্ষে এটা কি মানায় ? এমন প্রশ্ন করেছেন বাবুল । তিনি এও বলেছেন বিজেপির বৈঠকে আসছিলেন না। আরও নয় কিছুদিন আসতেন না । না হয় আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতেন । এত তাড়াহুড়ো কেন ? এখনই তো বাংলায় কোনও নির্বাচন নেই। একটা সময় ছিল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের জন্য রাজ্যসভার সদস্য থাকাকালীন রোজ সিগারেটে সুখটান দিতে দিতে মুকুল রায় বলতেন বিজেপিতে তোমরা কবে জয়েন করাবে। সংগঠনটা তো বানাতে হবে। তখন সংসদে সেন্ট্রাল হলে গল্প হত । তবে শিষ্টাচারের খাতিরে তিনি আর বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছেন না।
বাবুল সুপ্রিয় আরও বলেন দলবদল করছেন তাতে অসুবিধা নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে বলবেন সেটাও স্বাভাবিক । কিন্তু একজন বর্ষীয়ান নেতা অসত্য বলবেন কেন । বাবুল সুপ্রিয় এটাও লিখেছেন, মুকুল রায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল। সামনাসামনি কখনো দেখা হলে কোন অসম্মানজনক কথা তিনি বলবেন না। ব্যক্তি সম্পর্ক যে দলের ভাল-মন্দের উপরে হতে পারে না তা স্মরণ করিয়ে দিতে ভোলেননি বাবুল। বাবুলের আরো প্রশ্ন ভোট-পরবর্তী সময় কতগুলি রাজনৈতিক খুন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় হয়েছে? তা কি উনি জানেন না ? যেসব যুবক-যুবতীদের পিঠে হাত দিয়ে একদিন কথা বলেছেন সে হাতের রং বদল হলে কোন সমস্যা নেই । এটা রাজনীতিতে হয়েই থাকে কিন্তু সেইসব যুবক-যুবতীদের পিঠে ছুরি মারছেন কেন ? এভাবেই মুকুল রায় কে একাধিক প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।
No comments:
Post a Comment