নিজস্ব প্রতিনিধি, বাংলাদেশ: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সোমবার রাত থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার অতিক্রম করে। কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে তীব্র গরম পড়ছিল। তবে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা পাচ্ছিলেন না ঢাকাবাসী। সোমবার মধ্যরাতে প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। স্বস্তি নেমে এসেছে ঢাকাজুড়ে। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতও হয়েছে। এসময় বজ্রপাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন ও চট্টগ্রামে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থির রয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। আগামিকাল বুধবার ভোর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আঘাত করবে ভারতের উড়িষ্যায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আঘাত আসবে পশ্চিমবঙ্গে। উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে কম প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। খুলনা উপকূল সুন্দরবনে বেশি প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়াও মিয়ানমারেও এর হালকা প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment