প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে হারার পর বাংলায় আরও বড় এক ধাক্কা খেলো দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বরাবরই ঘোষণা করেছিল বাংলায় দু'শোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে আর মসনদে বসলেন 200-র বেশি আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফলে বিজেপির পায়ের তলার মাটি অনেকটাই হালকা হয়েছে । বিজেপি কর্মীদের কেউ কেউ ভয়ে ভোটের গণনা দিন দুপুর থেকেই বাড়িছাড়া হয়েছেন। আর যারা আছেন তাদের অনেকেই আবার রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছে। অন্যদিকে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর তৃণমূল থেকে যাওয়া বিজেপিতে বহু কর্মী ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাগত জানিয়েছেন ।এমত অবস্থায় তিন বছর পর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি গঠন হতে চলেছে।
বোর্ডের ক্ষমতা থাকছে তৃণমূলের হাতে। ভোটের পর এই পঞ্চায়েত সমিতি গঠন বঙ্গ বিজেপির কাছে আরও বড় ধাক্কা হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। বিজেপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। এই অবস্থায় কেশিয়াড়ি তে বিজেপিতে প্রথম ভাঙন ধরালো তৃণমূল।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল 2018 সালে। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হচ্ছে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পর । অর্থাৎ দীর্ঘ তিন বছরের টালবাহানার পর কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি কাজ করতে শুরু করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ নেওয়ার দিনই ভাঙ্গন ধরায় তৃণমূল আর তাতেই খেলা ঘুরতে শুরু করে।
পঞ্চায়েত সমিতির তিনজন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয় 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির 13 টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। গেরুয়া শিবির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও বোর্ড গঠন করতে পারেনি। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে ভেবে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন স্থগিত করে দেয়। বোর্ড গঠন হওয়া নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে চলছিল সমস্যা। এ পরিস্থিতিতে গতবছর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে 12 থেকে 14 হয়। আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তারা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জমে থাকায় সেই সময় বোর্ড গঠন করতে পারেনি। এরপর বুধবার আরো তিনজন দলবদল করায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে 17 হয়। বিজেপির ঝুলিতে মাত্র 8। শাসক দলের তরফে দাবি করা হচ্ছে 15 দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতি।
No comments:
Post a Comment